চলমান সংকটে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকা ও অন্যান্য কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ ই-কমার্স খাতের ক্ষয়ক্ষতি ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তা থেকে উত্তরণে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা।
ই-কমার্স অ্যাসোসিশেন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর বনানীস্থ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ এবং সংকট উত্তরণে কয়েকটি দাবি ও পরামর্শ তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার।
শুরুতেই ইন্টারনেট ও ফেসবুক খুলে দেয়ায় ই-ক্যাব সভাপতি সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, গত ১৩ দিনে এই খাতে প্রায় ১৭শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে প্রতিদিন তার পরিমাণ বেড়ে চলেছে।
ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে এই ব্যবসা পুরোই বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ইন্টারনেট চালু থাকলেও গতি কম থাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ থাকার কারণে এখনো সংকট কাটিয়ে উঠেনি। এছাড়া কারফিউ ও নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ বিভিন্ন কারণে ই-কমার্স খাতের ৯৫ শতাংশ লেনদেন এখনো বন্ধ রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ই-ক্যাব থেকে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
শমী কায়সার বিগত কয়েকদিন ধরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, মোবাইল ইন্টারনেট ও ফেসবুক চালু করার জন্য ই-ক্যাব থেকে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা তুলে ধরেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে অনাকাংখিত ও অপ্রত্যাশিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কেউ এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না এবং পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
ইন্টারনেট চালু ও ফেসবুক খুলে দেয়া ছাড়াও ই-ক্যাব নেতৃবৃন্দ সরকারের নিকট তাদের দাবি প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন। যেসব উদ্যোক্তার ব্যাংক ঋণ রয়েছে তা পরিশোধের সময়সীমা নূন্যতম ০৬ মাস বৃদ্ধি করা, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা, লজিস্টিকস ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাময়িকভাবে ভ্যাট মওকুফ করা, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি মওকুফ ও মেয়াদ বৃদ্ধি করার দাবি জানান।
এছাড়া ফেসবুকে সচল থাকা বিজ্ঞাপনের মূল্য ফেরত বা পূণবিজ্ঞাপনের জন্য ফেসবুকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, ই-ক্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাহাব উদ্দিন শিপন, সহ-সভাপতি জনাব সৈয়দা আম্বারীন রেজা, সাধারণ সম্পাদক নাছিমা আক্তার নিশা, সহ সাধারণ সম্পাদক খন্দকার তাসফিন আলম, অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ, পরিচালক শাহারিয়ার হাসান, মো. সাইদুর রহমান সাঈদ, মো. ইলমুল হক সজীব ও অর্ণব মুস্তাফা উপস্থিত ছিলেন।