সময়ের সমালোচিত ঢালিউড অভিনেত্রী পরীমনি। শুরু থেকেই কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন তিনি। তাই এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব ছিলেন এ অভিনেত্রী। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে সরকার পতনের একদফা দাবিতে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এখন দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন তিনি। তার পতনের পরই সেই ভয়াল ৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ করেন পরীমনি।
গত ৫ আগস্টের পর এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন— ‘শান্তি চাই। লুটপাট, থানা আক্রমণ, প্রতিহিংসা চাই না। আমরা সংযত হই, দায়িত্ববান হই। প্রিয় বাংলাদেশে আর রক্তপাত চাই না।’ এর আগে গত ১৫ জুলাইয়েও পরীমনি লিখেছিলেন— ‘নারীর প্রতি সহিংসতায় আপনার জবান বন্ধ থাকলে আপনি মুনাফিক।’
এ দুটি ঘটনার মধ্যেই যোগসূত্র খুঁজে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরীমনি লিখেছেন— ‘তিন বছর আগে এই ৫ আগস্ট যেভাবে আমার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল, প্রকৃতি হিসাব রাখে মা।’
তিন বছর আগে। অর্থাৎ ২০২১ সালের ৮ জুন রাজধানীর বোটক্লাবে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলেছিলেন পরীমনি। এ অভিযোগে মামলাও করেছিলেন তিনি। এর পর থেকেই বোটক্লাবকাণ্ড— টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছিল। পরে পরীমনি সংবাদ সম্মেলন করে তার সঙ্গে হওয়া হেনস্তার বর্ণনাও দিয়েছিলেন। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলে উল্টো ফেঁসে যান পরীমনি। তারপর এ অভিনেত্রীর বাসায়ও চালানো হয় পুলিশি অভিযান। সেদিন তার বাসায় পুলিশি অভিযান তিনি ফেসবুক লাইভে সরাসরি দেশবাসীকে দেখান।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট নিজ বাসা থেকে পরীমনিকে গ্রেফতার করেছিল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যব)। পর দিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা করা হয়। গ্রেফতারের দিনও লাইভে গিয়ে শেখ হাসিনাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেন পরীমনি। কিন্তু সেদিন শেখ হাসিনার কাছে সাহায্য চেয়েও রেহাই পাননি এ অভিনেত্রী।
গ্রেফতারের পর পরীমনিকে তিন দফায় রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছিল। পরে ১ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। কিন্তু গ্রেফতারের দিনটি এখনো পরীমনির জীবনের কালরাত। সেই ৫ আগস্টের কথা এখনো তিনি ভুলতে পারেননি।
উল্লেখ্য, আগামীতে পরীমনি অভিনীত ‘রঙিলা কিতাব’ ও কলকাতার সিনেমা ‘ফেলুবক্সী’ মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। ‘ফেলুবক্সী’তে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন টালিউড অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। আরও আছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার।