কোটা সংস্কার ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় তারা ওই মহাসড়কে অবস্থান নেন। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরে যান তারা। জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন।
এদিকে মহাসড়কে পরিবহন চলাচল না করায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ ছিল। ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা পরিবহনগুলো সেতুর ওপর আটকে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে চলাচলকারীরা।
এর আগে সকালে বিভিন্ন জায়গা থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সেতু এলাকায় জড়ো হন। জোকারচর থেকে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল সেতু গোলচত্ত্বর এলাকায় আসার সময় বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার সামনে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। পরে শিক্ষার্থীরা বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি গোলচত্ত্বরে আসে।
শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা হোক। এছাড়া নিরীহ শিক্ষার্থীদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটার বিচার চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো সুরাহা না হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ওসি আলমগীর আশরাফ জানান, শিক্ষার্থীরা একত্রিত মহাসড়কের গোল চত্ত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়েছিল। তাদেরকে মহাসড়ক ছেড়ে দেয়ার জন্য বলা হয়। পরে তারা মহাসড়ক ছেড়ে দিলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।