কোটি টাকার ঘুষের বিনিময়ে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ধামাচাপার চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম

দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ । ছবি সংগৃহিত

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর সহকারী পরিচালক (এডি) মো: আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ভয়ভীতি প্রদর্শন, সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অর্থ দাবি এবং অনুসন্ধানের মূল অভিযোগের বিষয় পরিবর্তন করে উদ্দেশ্যমূলক হয়রানির অভিযোগ দুদক কমিশন বরাবর লিখিতভাবে দিয়েছেন সড়ক বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা।

তাদের অভিযোগ, আজাদের বিরুদ্ধে দুদকের চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনার বরাবর প্রমাণ-সংযুক্ত একাধিক লিখিত অভিযোগ পাঠানো হলেও ‘সিন্ডিকেট’ ও ‘অদৃশ্য প্রভাব’-এর কারণে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুদকের এক ডিজির ছত্রছায়ায় আজাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না দুদক। এই ডিজি পূর্ববর্তী (পতিত) সরকারের আমলে দুদকে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও সুবিধাভোগী ছিলেন। ওই ডিজি ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে নিজেকে সবচেয়ে নির্যাতিত দাবি করেন। দুদকের নতুন কমিশন গঠনের পরে এই ডিজি নিজেকে মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন বলে বিভিন্ন মহলে প্রচার করতে থাকেন এবং এক উপদেষ্টার পরিচিত বা আত্মীয় পরিচয় দিতে থাকেন। এছাড়াও পতিত সরকারের কিছু পেশাজীবীর তদবিরও এই ডিজি আজাদের মাধ্যমে করে থাকেন।

সম্প্রতি আজাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ধামাচাপা দিতে, এই ডিজিসহ দুদকের একটি গ্রুপ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছেন। এই সিন্ডিকেট ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া এক নেতার মাধ্যমে দুদকের কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করারও চেষ্টা করছেন।

এদিকে সম্প্রতি সময়ে দুদকের পরিচালক ড. খান মো. মীজানুল ইসলাম গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন এবং চিকিৎসা শেষে গত ২০ আগস্ট বকেয়া চিকিৎসা বিল নিজে পরিশোধ করেননি। পরবর্তীতে মাহবুবুল আনাম ওই টাকার গ্যারান্টি দেওয়ার পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র (ডিসচার্জ) দেওয়া হয়। তদন্তে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বিষয় প্রমাণিত হলে দুদক কমিশন ড. খান মো. মীজানুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করে।
এদিকে দুদকের একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায়, এডি আজাদের ঘুষের ‘দোকান’ বন্ধ হলে দুদকের একটি গ্রুপের ঘুষ দোকান বন্ধ হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে দুদকের সচিবের অফিস নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।