ময়মনসিংহে দুই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১

ময়মনসিংহের তারাকান্দা ও ফুলপুর উপজেলায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫ জন। শুক্রবার (২০ জুন) সন্ধ্যা ও রাতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুর্ঘটনার জন্য যানবাহনের বেপরোয়া গতিকে দায়ী করেছেন।
পুলিশ জানায়, হালুয়াঘাট থেকে ঢাকাগামী শ্যামলীবাংলা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস ফুলপুর উপজেলার কুরিয়ার ব্রিজের কাছে একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ৫ জন। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও ৩ জন মারা যায়। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
ফুলপুরে নিহত ৮ জনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ফুলপুর উপজেলার কাজিয়াকান্দা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে ফরিদ মিয়া (৩৮), নিশুনিয়াকান্দা গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে জহর আলী (৭০), বাট্টা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (৫০), পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার কয়ারহাটি গ্রামের মৃত হাজী জবান আলীর ছেলে শামসুদ্দিন (৬৫) ও রংপুরের আজিম উদ্দিন (৩৫)। তারা সবাই মাহেন্দ্রার যাত্রী।
এদিকে, সন্ধ্যার আগে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কোধালধর এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স এবং সিএনজির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় দুইজন সিএনজি যাত্রী। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় আরও একজন।
তারাকান্দায় নিহতরা হলেন- ধোবাউড়া উপজেলার বরাটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের স্ত্রী জবেদা খাতুন (৮৫), ফুলপুর উপজেলার মদীপুর সুতারপাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রাকিবুল হাসান (১৫) ও ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের শুইলাম বুধবারিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলম (৩৫)। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ আলম সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন।
এসব ঘটনার পরপরই ফুলপুরে ছুটে যান জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বেপরোয়া গতি ও চালকদের অদক্ষতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতার কথা জানিয়ে দুর্ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।