হঠাৎ কক্সবাজারে পিটার হাস, মহেশখালী সফর ঘিরে নানা গুঞ্জন

লালসবুজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম

সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস হঠাৎ করেই কক্সবাজারে হাজির হয়েছেন। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। তার সফরকে ঘিরে এলাকায় নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আরও দুইজন—কে এম আতিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া নামের দুই ব্যক্তি। তবে তারা কার প্রতিনিধি বা কী পরিচয়ে তার সফরসঙ্গী হয়েছেন, সেটি এখনও পরিষ্কার নয়।

বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তারা রওনা দেন কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে। সেখান থেকে স্পিডবোটে করে পাড়ি জমান মহেশখালী। মূল গন্তব্য ছিল ‘এক্সিলারেট-হোপ হসপিটাল’—হোপ ফাউন্ডেশন ও যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এই হাসপাতালটি।

হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পৌঁছে পিটার হাসকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর। এরপর তিনি ঘুরে দেখেন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও অবকাঠামো। অংশ নেন একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতেও।

তবে এখানেই শেষ নয়। হাসপাতাল পরিদর্শনের পর তিনি যান বড় মহেশখালীতে, সেখানে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেন বলে জানা গেছে। কিন্তু ওইসব কর্মসূচির প্রকৃতি নিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য মেলেনি।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব শেষে বর্তমানে পিটার হাস কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এলএনজি কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর হিসেবে। আর মহেশখালীতে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী এলএনজি টার্মিনাল। তাই অনেকেই মনে করছেন, এ সফর শুধুমাত্র হাসপাতাল ঘুরে দেখার জন্য নয়, এর পেছনে রয়েছে আরও বড় কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য।

এর আগে, কক্সবাজারে পিটার হাসের একটি ‘গোপন বৈঠক’ হয়েছে এমন গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল। যদিও সেটি নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে ফের তার কক্সবাজার সফর সেই গুঞ্জনকে নতুন করে উসকে দিয়েছে।

স্থানীয় বিশ্লেষকরা বলছেন, মহেশখালীর কৌশলগত অবস্থান এবং জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের বিষয়টি মাথায় রেখেই পিটার হাসের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে এলএনজি প্রকল্প ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা ইস্যুতে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পরিকল্পনা থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

এদিকে, তার সফরসঙ্গী দুই ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে কক্সবাজারের রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে। অনেকেই বলছেন, যদি এটি নিছক একটি সফরই হয়, তাহলে পরিচয় গোপন রাখার মতো কিছু থাকার কথা নয়।