যেসব শর্তে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন ট্রাম্প

মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য গালফ-যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। এই সম্মেলনের আগে গত ৬ মে হোয়াইট হাউসে এক ‘গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা’র আভাস দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যা নিয়েই চলছে নানা জল্পনা।
গালফ অঞ্চলের এক কূটনৈতিক সূত্রের দাবি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দেবেন, তবে এতে হামাসের কোনো অংশগ্রহণ থাকবে না। তার মতে, এটি হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ভারসাম্য বদলে দেয়ার মতো একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। জেরুজালেম পোস্ট
সূত্র আরও জানায়, এই সম্মেলনে নিরাপত্তা, সামরিক সহযোগিতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তি খাতে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক চুক্তি ঘোষিত হয়েছে, এবং গালফ রাষ্ট্রগুলো শুল্ক অব্যাহতির মতো সুযোগ পেতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
তবে সাবেক গালফ কূটনীতিক আহমেদ আল-ইব্রাহিম এই দাবির সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন বিষয়ে কোনো বড় ঘোষণা হলে মিশর ও জর্ডানকে আমন্ত্রণ জানানো হতো, যাদের উপস্থিতি এখানে অনুপস্থিত। বরং তার মতে, ২০১৭ সালের মতো এবারও বড় অর্থনৈতিক ও সামরিক চুক্তি হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের সফরের মূল ফোকাস অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ও পারমাণবিক প্রযুক্তি সহযোগিতা হতে পারে। সৌদি আরব বর্তমানে তাদের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইতিমধ্যে বারাকাহ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করেছে।
সৌদি বিশ্লেষক আহমেদ বুশুকির মতে, সম্ভবত ট্রাম্পের কথিত ‘বড় ঘোষণা’ মূলত এই অর্থনৈতিক উদ্যোগ নিয়েই। ট্রাম্প নিজেই সম্প্রতি মার্কিন জনগণকে স্টক কেনার পরামর্শ দেন, যা এই ঘোষণার ইঙ্গিত হতে পারে।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এটি সৌদি আরবে তার প্রথম সফর। তার পূর্ববর্তী সফর ২০১৭ সালের ২১ মে অনুষ্ঠিত গালফ-যুক্তরাষ্ট্র সম্মেলনে ব্যাপক চুক্তি ও বিনিয়োগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচিত হয়।