আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে পদ্মার ইলিশের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানির অনুমতি চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে ভারতের ফিস ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ চিঠি পাঠানো হয় বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে।

চিঠিতে দুর্গাপূজার আগেই ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে, ইলিশ রফতানির সময়সীমা তুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত সময় পায় মাছ আমদানির জন্য প্রস্তুতি নিতে।

ভারতীয় সংগঠনটির সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ চিঠিতে উল্লেখ করেন, গত বছর বাংলাদেশ সরকার ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিলেও বাস্তবে রফতানি হয়েছিল মাত্র ৫৭৭ মেট্রিক টন। নির্ধারিত ৩০-৪৫ দিনের সময়সীমার কারণেই এ ঘাটতি হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাই এবছর যেন সময়সীমা নির্ধারণ না করে দীর্ঘ সময়ের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়, সে আবেদন জানানো হয়েছে।

আনোয়ার মাকসুদ বলেন, “প্রতিবছর আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করি। এবারও করেছি। যেহেতু এই বছর দুর্গাপূজা সেপ্টেম্বরেই, তাই আগেভাগেই মাছের ব্যবস্থা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।” তিনি আরও জানান, “আগে আমরা এক মাস সময় পেতাম। যদি এবার বেশি সময় পাওয়া যায়, তাহলে আমদানিও বেশি করা সম্ভব হবে।”

তবে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানির অনুমতি না দিলে ভারতের বাজারে ইলিশের চাহিদা পূরণের জন্য গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চল এবং মিয়ানমারের মাছের ওপর নির্ভর করতে হবে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

দুর্গাপূজায় বাঙালির খাদ্যতালিকায় ইলিশ একটি আবেগের নাম। বিশেষ করে পদ্মার ইলিশের কদর পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় বরাবরই বেশি। ফলে উৎসবের আগে ওপার বাংলার ক্রেতা-বিক্রেতারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন বাংলাদেশের ইলিশের।