লালসবুজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
নতুন বাংলা বছর ১৪৩২-কে বরণ করে নিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আজ একত্রিত হয়ে অংশ নিচ্ছে এ সর্বজনীন আনন্দ-আয়োজনে। বর্ণিল শোভাযাত্রা, ঐতিহ্যবাহী লোকগান, আলপনা, র্যালি, এবং বৈশাখী মেলার নানা আয়োজন যেন প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলার রাজপথে। নারী, পুরুষ, শিশু-কিশোর রঙিন পোশাকে সেজে যোগ দিয়েছে বর্ষবরণের এই প্রাণোচ্ছল উৎসবে।
ভোরবেলা রমনা বটমূলে ছায়ানটের পরিবেশনায় শুরু হয় বর্ষবরণের মূল আনুষ্ঠানিকতা। একই সঙ্গে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক দলসহ বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর অংশগ্রহণে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয় শোভাযাত্রা। বাংলা একাডেমি, বিসিক, লোকশিল্প ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনসহ নানা প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে বসেছে বৈশাখী মেলা, যেখানে রয়েছে দেশীয় কারুশিল্প, কৃষিপণ্য, হস্ত ও মৃৎশিল্প, খেলনা ও লোকজ খাবারের সমাহার।
এবারের নববর্ষ উদযাপন ছিল ভিন্নরকম। অন্তর্বর্তী সরকারের তত্ত্বাবধানে দেশের সব নাগরিক, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায় প্রথমবারের মতো একসাথে উদযাপন করছে পহেলা বৈশাখকে একটি সর্বজনীন উৎসব হিসেবে। এ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, এবং দেশজুড়ে নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি ও কর্মসূচি।
চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সব জেলা-উপজেলায় পালিত হচ্ছে বর্ষবরণ উৎসব। পার্বত্য এলাকার নৃগোষ্ঠীগুলোর নিজস্ব বর্ষবরণ উৎসব ‘বৈসাবি’ উদযাপিত হয়েছে একইসঙ্গে। ঢাকার বিভিন্ন জাদুঘর ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান উন্মুক্ত রাখা হয়েছে জনসাধারণের জন্য, বিশেষভাবে শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়েছে।
এ উপলক্ষে সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করেছে বৈশাখের তাৎপর্য তুলে ধরা বিশেষ ক্রোড়পত্র ও ফিচার। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার করছে বৈশাখী বিশেষ অনুষ্ঠান।