লালসবুজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
জরিপে অংশ নেয়া তরুণরা মনে করেন, ২১.৪৫ শতাংশ ভোট পাবে জামায়াত। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পাবে ১৫.৮৪ শতাংশ, অন্যান্য ধর্মীয় দলগুলো পাবে ৪.৫৯ শতাংশ ভোট, জাতীয় পার্টি পাবে ৩.৭৭ শতাংশ এবং অন্যান্য দল পাবে শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে বিএনপি ৩৮.৭৬ শতাংশ ভোট পাবে বলে মনে করেন তরুণরা। এর পরের অবস্থানে ২১.৪৫ শতাংশ ভোট পেয়ে থাকবে জামায়াত।
গতকাল সোমবার (৬ জুলাই) সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) প্রকাশিত এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এছাড়া জরিপে অংশ নেয়া তরুণরা মনে করেন, অন্যান্য ধর্মীয় দলগুলো পাবে ৪.৫৯ শতাংশ ভোট। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পাবে ১৫.৮৪ শতাংশ, জাতীয় পার্টি পাবে ৩.৭৭ শতংশ এবং অন্যান্য দল পাবে শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট।
সানেমের জরিপে আরও উঠে এসেছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি পেলে আওয়ামী লীগ পাবে ১৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট।
দেশের সবকটি বিভাগের ওপর চালানো এ জরিপে অংশ নেন ১৫-৩৫ বছর বয়সি ২ হাজার মানুষ। প্রথমে ৮ বিভাগ থেকে ২টি করে জেলা বাছাই করা হয়। এরপর সেখান থেকে আবার দুইটি করে উপজেলা নির্বাচন করা হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে ৪০ শতাংশ, এসএসসি বা এর ওপরে ৬০ শতাংশ। এর মধ্যে শহরের ছিল ৫০ শতাংশ এবং গ্রামের ৫০ শতাংশ।
উল্লেখ্য, জরিপে অংশগ্রহণকারী পুরুষদের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিএনপিকে, ২২.২১ শতাংশ জামায়াতে ইসলামিকে এবং ১৪.৪৪ শতাংশ এনসিপিকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। অপরদিকে, নারী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩৭.০৩ শতাংশ বিএনপি, ২০.৫৭ শতাংশ জামায়াত এবং ১৭.৪৭ শতাংশ এনসিপিকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।
অর্থাৎ জরিপ অনুযায়ী, এনসিপির প্রতি নারী ভোটারদের সমর্থন পুরুষ ভোটারদের তুলনায় কিছুটা বেশি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, বিএনপিকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে গ্রামীণ অঞ্চলের ৩৭.৭২ শতাংশ এবং শহর অঞ্চলের ৩৯.৭৭ শতাংশ উত্তরদাতা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। জামায়াতের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন গ্রামে ২১.২৫ শতাংশ এবং শহরে ২১.৬৬ শতাংশ। এনসিপির ক্ষেত্রে এ হার গ্রামে ১৫.৩৮ শতাংশ এবং শহরে ১৬.২৮ শতাংশ।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন গ্রামীণ অঞ্চলের ১৬.৬২ শতাংশ এবং শহর অঞ্চলের ১৩.৪৬ শতাংশ ভোটার। অর্থাৎ জরিপ অনুযায়ী, দলটির প্রতি গ্রামীণ ভোটারদের সমর্থন শহরের তুলনায় কিছুটা বেশি।