লালসবুজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ৮৪টি বিষয়ে সংস্কারে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। এখন চলছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা। এর মাঝেই জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, গণহত্যার বিচারসহ ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
এর মাধ্যমে কি নির্বাচনী সুবিধা আদায় করতে চায় জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল? নাকি শুধুই সরকারকে চাপে রাখাই তাদের কৌশল?
জামায়াতে ইসলামী মনে করে, বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপির প্রতি নমনীয় সরকার। এজন্য তাদের অনেক দাবিই গুরুত্ব পায় না। তাই আন্দোলনের কৌশল দলটির।
তবে এটিকে আসন ভাগাভাগি বা নির্বাচনে সুবিধা নেয়ার কৌশল বলতে নারাজ জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেছেন, বিশেষ একটি দল থেকে কমিশনের ওপরে চাপ দেখতে পাচ্ছি আমরা, তাতে আমরা আবার হাতাশ হচ্ছি। এজন্য আমরা আমাদের দাবিটা জনগণকে জানাচ্ছি। জনগণ সচেতন হোক, সরকারের কানে যাক, আন্দোলন তো এই কারণেই। প্রত্যেকের অধিকার আছে না সংসদে যাওয়ার, নিবন্ধিত দল নির্বাচন করবে, তো ভাগাভাগি বলবেন কেন? জনগণ ভোট দিলে যাবে, না দিলে যাবে না। এজন্য এ কথা যারা বলে আমাদের এই পিআরের আন্দোলকে একটু চাপায় রাখতে চান, তাদের জন্য আমার এই কাউন্টার কথাটা থাকলো।
জামায়াত ও খেলাফতে মজলিসের দাবি, ৫ দফার সাথে একমত ৮টি রাজনৈতিক দল। তারা ধাপে ধাপে আন্দোলনে যোগ দেবে আন্দোলনে।
খেলাফতে মজলিসের মহাসচিব আবদুল কাদের বলেছেন, কেউ কেউ কনফিউশনে আছে, আন্দোলন আগে করা উচিত, কেউ মনে করে পরে করা উচিত। আমরা আগে করার পক্ষে, যারা এটির সঙ্গে একমত তারা আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন বা নেবেন।
তবে ৮ দলের মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদের নাম আসলেও ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচির সাথে নেই তারা।
দল দুইটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধসহ কিছু দাবিতে সমর্থন থাকলেও এখনই আন্দোলনের পক্ষে নয় তারা।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিন বললেন, তারা নিম্নকক্ষে পিআরের জন্য কিন্তু মাঠে এই কর্মসূচিগুলো দিচ্ছে। কিন্তু ওই ক্ষেত্রে আমরা একমত নই। তবে আমাদের জায়গা থেকে যেই অংশগুলোতে একমত, সেগুলো আমরা আমাদের মতো করে বলবো। আমাদের ভাষায় বলবো।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, আন্দোলনে অংশ নেয়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এবং এই পাঁচ দফা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
এমন আন্দোলনে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য বিনষ্ট হবে এমনটা বলছেন তারা।
রাশেদ খান বলেন, মাঠের কর্মসূচি করে আসলে সরকারকে চাপ দেয়া, একই সাথে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে সুযোগ দেয়া বা ভারতকে সুযোগ দেয়া এবং এতে দৃশ্যমান হওয়া যে আমাদের ভেতরে বিভাজন রয়েছে। এই বিভাজনটা দৃশ্যমান করা এই মুহূর্তে আসলে ঠিক হবে না।
সামান্তা শারমিনের মতে, আলোচনার টেবিলের যে আলাপ সেটাকে মাঠের জনশক্তি দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টাটা কোনও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া না।
এরইমধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট ও সংবিধান আদেশ জারির পদ্ধতি বুধবারের আলোচনায় প্রস্তাব করেছে ঐকমত্য কমিশন।