লালসবুজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৭ পিএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলতি নভেম্বরের শেষ দিকে দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি এই মাসের শেষ নাগাদ তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। তবে দু’একদিন এদিক-ওদিক হতে পারে, কিন্তু ইনশাআল্লাহ তিনি ফিরছেন।”
২০০৮ সালের জরুরি অবস্থার সময় পরিবারসহ দেশ ত্যাগের পর থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান। গত জুলাইয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং এর পর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর জটিলতার অবসান ঘটে। তবে তখনও তিনি দেশে ফেরেননি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য গত কয়েক মাস ধরেই ইঙ্গিত দিয়ে আসছেন যে, তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন। যদিও এখন পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানানো হয়নি।
এর আগে, গত ৬ অক্টোবর বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমানকে দেশে ফেরার পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দ্রুতই মনে হয়, দ্রুতই ইনশাআল্লাহ।”
নির্বাচনের আগে দেশে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মনে করি, নির্বাচনের সঙ্গে রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই যখন জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তখন জনগণের মাঝেই থাকব ইনশাআল্লাহ। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা, ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের সঙ্গে থাকার।”
প্রায় দুই দশক ধরে বিএনপির নীতি নির্ধারণ ও নির্বাচনী কৌশল প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও তারেক রহমান এতদিন সরাসরি ভোটের মাঠে প্রার্থী হননি। তবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রথমবারের মতো প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, তারেক রহমান বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে নির্বাচন করবেন। এ আসনটি তার মা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী আসন। ১৯৯১ সাল থেকে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাহজাহানপুর) এবং ১৯৯৬ সালের জুন নির্বাচনের পর থেকে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে পরপর নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন খালেদা জিয়া।
মায়ের সেই ঐতিহ্যবাহী আসনেই প্রার্থী হচ্ছেন তারেক রহমান, যা বিএনপির রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা মনে করছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা ও প্রার্থী হওয়া বিএনপির তৃণমূল কর্মীদের মাঝে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে এবং আগামীর নির্বাচনী লড়াইয়ে দলকে আরও সংগঠিত করবে।