লালসবুজ২৪.কম
ভরা মৌসুমেও বাজারে মিলছে না ইলিশ, কেজি ২৮০০ টাকা

লালসবুজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম

বর্ষার ভরা মৌসুমেও দক্ষিণাঞ্চলের বাজারগুলোতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলছে না। অল্প পরিমাণের মাছ বাজারে পাওয়া গেলেও তার দাম আকাশচুম্বী। মণপ্রতি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০ হাজার থেকে এক লাখ ১২ হাজার টাকায়। কেজিপ্রতি যা দাঁড়ায় ১৭৫০ থেকে ২৮০০ টাকায়। আবার দুই কেজি বা তার বড় সাইজের ইলিশ পাওয়া গেলে তার দাম কেজিতে আরও বাড়ে।

বরিশালের কাগাশুরা থেকে পোর্ট রোডে ইলিশ কিনতে এসেছেন এনায়েত হোসেন। তিনি বলেন, পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানের জন্য ভালো সাইজের কিছু ইলিশ নিতে এসেছিলাম। এসে দেখি গাড়ি ভাড়ার টাকাই গচ্ছা গেছে। পোর্ট রোডে সাত-আট বছর আগেও আষাঢ় মাসে প্রতিদিন এক-দেড় হাজার মণ ইলিশ উঠতো। অথচ এখন দিনে ৩০/৪০ মণও আসে কিনা সন্দেহ। যা আসে তা নানান সিন্ডিকেটের কারণে এত বেশি দাম হয় যে আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

পোর্ট রোডের খুচরা বিক্রেতা রুবেল হাওলাদার বলেন, জেলেরাই কম মাছ পাচ্ছে। যা পাচ্ছে তা সড়ক পথে ঢাকা চলে যাচ্ছে। যে কারনে স্থানীয় বাজারে মাছ পাওয়া যায় না। এক সপ্তাহ আগে বাজারে এক পিসও ইলিশ পাওয়া যেত না। কয়েকদিন হলে কিছু কিছু আসছে। এগুলো অধিকাংশই নদীর মাছ বিধায় দাম বেশি। সাগরের মাছ আসতে শুরু করলে দাম কমে যাবে।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার জেলে সুজন আকন বলেন, নিষেধাজ্ঞা নেই তবে সাগর উত্তাল। সিগন্যাল থাকায় অনেক বোটমালিক সাগরে বোট পাঠায়নি। তাছাড়া সাগরেও চাহিদামতো মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এখন এক একটি বোট নিয়ে সাগরে যেতে নূন্যতম পাঁচ লাখ টাকার মালামাল প্রয়োজন হয়। সেই টাকা উঠবে কিনা তারতো নিশ্চয়তা নেই।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪০০ গ্রাম সাইজের প্রতিমণ ইলিশের দাম ৬৮ থেকে ৭০ হাজার, ৮শ-৯শ গ্রাম সাইজের প্রতিমণ ইলিশ এক লাখ টাকা, এক কেজির বেশি সাইজের প্রতিমণ ইলিশ এক লাখ আট থেকে এক লাখ ১২ হাজার টাকা। বড় আকারের ইলিশের দাম গত ১০ দিনের ব্যবধানে মণ প্রতি ১২ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপণ কান্তি ঘোষ বলেন, রোববার পোর্ট রোড পাইকারি বাজারে ৩০ মণের মতো ইলিশ এসেছে। সাগরে সিগন্যাল থাকায় জেলেরা সাগরে যেতে পারছে না। সাগরের মাছ আসতে শুরু করলে বাজারের সংকট থাকবে না। তখন দামও কমে আসবে। গতকালের চেয়ে আজকে বাজারে ইলিশের দাম কিছুটা কমতে পারে। কলাপাড়ার মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জেনেছি কয়েকটি ট্রলার এসেছে। এতে স্থানীয় বাজারে সরবারহ বাড়বে।

এই কর্মকর্তা বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় সড়ক পথে দ্রুতই মাছ ঢাকায় পাঠাতে পারেন আড়ৎদারেরা। এজন্য ট্রলার থেকে মাছ তুলেই ভালো দামের জন্য ঢাকায় পাঠান। এতে কিছুটা সংকট স্থানীয় বাজারে তৈরি হয়।

লালসবুজ২৪.কম
ইমেইল: info@lalsobuj24.com