লালসবুজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
দেশের বিদ্যুৎ খাতের নার্ভ বলে পরিচিত নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অবস্থা নাজুক। গ্যাস সংকটের কারনে ১৬১০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাতটি ইউনিটের মধ্যে সাতটি ইউনিটেরই উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
শনিবার (১২ জুলাই) তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. এনামুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত দুই বছর ধরেই এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সংকট চলছে। গত ১৩ জুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৪নং ইউনিট, ৯ জুন ২০২৫, ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৫নং ইউনিট ও ১৪ জুন ২০২৫ তারিখ থেকে ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ৭নং ইউনিটের উৎপাদন একেবারে বন্ধ রয়েছে।
প্রধান প্রকৌশলী আরও বলেন, সরকার সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করার কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্যাস বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি বিকল্প ভাবে আমাদের গ্যাস সরবরাহ করার জন্য। গ্যাস সরবরাহ করলেই আমরা পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হব।
তিনি বলেন, তিনটি ইউনিট পুরোপুরি চালু করার মতো রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নং ইউনিটটি গত ২ মাস ধরে টারবাইনের রোটারের ব্লেডে সমস্যা দেখা দিলে এর বিদ্যুৎ উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকলেও তা মেরামতের শেষ পর্ষায়ে। গ্যাস সংযোগ চালু করলে এটাও উৎপাদনে চলে আসবে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের জুন মাসে ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৬নং ইউনিটে আগুন লেগে এর টারবাইন পুড়ে যায়। সেই থেকে এই ইউনিটটি বিদ্যুৎ উৎপাদন চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়।
অপরদিকে, ১৯৬৭ সালে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১নং ইউনিটটি রাশিয়া টেকনোপ্রম এক্সপার্ট নির্মাণ কাজ শেষ করলে ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসে মাত্র ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে এর যাত্রা শুরু করা হয়। পরে ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন অপর ২নং ইউনিটটি ১৯৭৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উৎপাদনে আসে। এ দুটি ইউনিটে বার বার যান্ত্রিক সমস্যার কারণে দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ এ দুটি ইউনিটেরও উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।