লালসবুজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
এবার বঙ্গোপসাগরে এলাকায় আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। যার প্রভাবে কেঁপে উঠেছে দেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ২৯ মিনিটে বঙ্গোপসাগর এলাকায় এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, গভীর রাতে বঙ্গোপসাগর এলাকায় আঘাত হানা এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। আর কেন্দ্র থেকে টেকনাফের দূরত্ব ছিল ১২৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।
একই তথ্য জানিয়েছে ভারতের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি। সেই সঙ্গে সংস্থাটি জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে আঘাত হানা ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে দেশটির ত্রিপুরার বিলোনিয়া শহরের দূরত্ব ছিল ৩৩৪ কিলোমিটার দক্ষিণে।
গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দেশে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওইদিন সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ভূ-কম্পন অনুভূত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী।
শুক্রবারের মাঝারি মানের ওই ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত সারাদেশে ১০ জনের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও ভূমিকম্পের সময় ভবন থেকে মাথায় ইট খসে পড়ে ও আতঙ্কে ভবন থেকে লাফিয়ে সারাদেশে অন্তত ৪ শতাধিক মানুষ আহত হন।
এর পরদিন শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটেও দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মৃদু ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও ছিল নরসিংদীর পলাশে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। পরবর্তীতে একই দিন সন্ধ্যায় আবারও দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ওইদিন সন্ধ্যায় এক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুই বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এরমধ্যে প্রথম ভূ-কম্পনটি অনুভূত হয় সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে। মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৭। এরপর ফের সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে দ্বিতীয় ভূ-কম্পনটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। এরমধ্যে প্রথম ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকার বাড্ডা, আর দ্বিতীয়টির উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।