লালসবুজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
পঞ্চগড়ে শীতের দাপট দিন দিন আরও বাড়ছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। টানা ৭ দিন ধরে এ উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকায় ভোর ও সকালে শীত অনুভূতি আরও তীব্র হচ্ছে।
তবে এ কয়েকদিন ধরে সকাল থেকে ঝলমলে রোদের দেখা মেলায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে ২৬-২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসার কারণে আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে একটু বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এর আগে গতকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) সেখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার (২৯ নভেম্বর) ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ১৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার (২৬ নভেম্বর) ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এ কয়দিন আকাশে মেঘের আনাগোনা না থাকলেও সোমবার প্রায় সারাদিনই কমবেশি মেঘের আনাগোনা থাকায় সূর্যের প্রখরতা ছিল অনেকটাই কম। বিকেল তিনটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্র নাথ রায় জানান, গত কয়েকদিন ধরেই তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। চলতি মাসে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দিনের বেশিরভাগ সময়ই কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে থাকার কারণে সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে কমে আসায় দিনের বেলাতেও হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর পরেই গ্রামের হাট বাজার গুলো ফাঁকা হয়ে পড়ছে মানুষ হয়ে পড়ছে ঘরমুখি। এদিকে শীত জনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু এবং বয়স্করা হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছে।