লালসবুজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম
ইউরোপীয় নেতারা শনিবার (৯ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকের বিষয়কে স্বাগত জানিয়েছেন। মূলত ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে ইউরোপের নেতারা ইউক্রেন ও ইউরোপের নিরাপত্তা রক্ষায় মস্কোর ওপর চাপ প্রয়োগের জোর দাবি জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স
আগামী শুক্রবার আলঙ্কাতে পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কিসহ তার অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি হয়েছে যে, তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাবে।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পুতিন ও জেলেনস্কির ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়া কথা ছিল। কিন্তু পুতিনের অনুরোধে একটি দ্বিপাক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য জানতে পারেনি রয়টার্স।
গুরুত্বপূর্ণ ওই চুক্তিতে কী রয়েছে যদিও তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে ট্রাম্প বলেছেন, এই চুক্তিতে উভয় দেশের কিছু অঞ্চল বিনিময় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর ফলে ইউক্রেনের বিশাল একটি অংশ হারাতে হতে পারে। জেলেনস্কি এবং তার ইউরোপীয়া মিত্ররা বলছেন, এমন পদক্ষেপ শুধু রাশিয়ার আগ্রাসনকেই উৎসাহিত করবে।
এদিকে ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টার অগ্রগতি নিয়ে শনিবার লন্ডনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চেভেনিং হাউসে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এবং ইউক্রেন ও ইউরোপের মিত্রদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।
ট্রাম্পের এমন প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে যৌত বিবৃতি দিয়েছে- ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, পোল্যান্ড, ব্রিটেন ও ফিনল্যান্ডের নেতারা। পাশাপাশি তারা ট্রাম্পের প্রতি ইউক্রেনকে সমর্থন এবং রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগের বিষয়ে জোর দেন।
তারা বলেন, আমার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি কূটনৈতিক এই সমাধান অবশ্যই ইউক্রেন ও ইউরোপের নিরাপত্তা বজায় থাকবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘নির্ভরযোগ্য এই নিরাপত্তা ইউক্রেনকে তার সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা কার্যকরভাবে রক্ষা করতে সক্ষম হবে বলে মনে করি। আরও বলা হয়, ইউক্রেনকে বাইরে তাদের শান্তির পথ নির্ধারণ করা যাবে না।’
নেতারা বলেন, বল প্রয়োগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমানা পরিবর্তন করা যাবে না এমন নীতিতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছেন। তারা বলেন, আলোচনা শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতি বা শত্রুতা হ্রাসের প্রেক্ষাপটে হতে পারে।
জেলেনস্কির প্রধান কর্মকর্তা আন্দ্রেই ইয়েরমাক ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দ এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। ইউক্রেন নিয়ে তাদের গঠনমূলক মনোভাবের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আন্দ্রেই বলেন, ‘একটি যুদ্ধবিরতি অপরিহার্য—তবে ফ্রন্ট লাইন কোনো সীমানা হতে পারে না। তিনি বলেন, তারা রাশিয়ার কাছে কোনো ভূখণ্ড সঁপে দেওয়া প্রত্যাখ্যান করবে।