লালসবুজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম
নেপালে ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে হেলিকপ্টারে করে মন্ত্রীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এর আগে মঙ্গলবার মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা এদিন ভৈসপতিতে মন্ত্রীদের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী পার্লামেন্ট ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাময়িকভাবে সেনা শিবিরে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ওলি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান সংকটের সাংবিধানিক সমাধানের পথ প্রশস্ত করার জন্য তিনি পদত্যাগ করেছেন। এর আগে বিক্ষোভকারীরা তার ব্যক্তিগত বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করেন।
দুর্নীতি ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরুদ্ধে সোমবার থেকে বিক্ষোভ-সংঘাতে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা নেপাল। সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নে ১৯ তরুণ বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়ে। সরকার শক্ত হাতে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার বাড়ি ও প্রধান দলগুলোর কার্যালয়ে হামলা চালায়। বিভিন্ন স্থানে পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার ললিতপুরে অবস্থিত দেশটির তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুঙের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। বৈসপতিতে অবস্থিত উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পাউডেলের বাড়িতেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। সোমবার পদত্যাগ করা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকের বাসভবনেও হামলা চালানো হয়।
বিক্ষোভকারীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নেপালি কংগ্রেস সভাপতি শেরবাহাদুর দেউবার বুদ্বানিলকণ্টায় অবস্থিত বাড়িতেও হামলার চেষ্টা করেন, তবে হামলার আগেই তাদের প্রতিহত করা হয়।
খুমলটারে অবস্থিত প্রধান বিরোধী দল সিপিএন (মাওইস্ট সেন্টার)-এর চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দাহালের বাসভবনেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পরেও বিভিন্ন জেলায় মুখ্যমন্ত্রী, প্রাদেশিক মন্ত্রী ও অন্যান্য নেতাদের বাড়ি-ঘরেও হামলা চালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।