লালসবুজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
নেপালে জেনারেশন-জি (জেনজি) বিক্ষোভের সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া, দেশটির বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে বর্তমানে আরও ১৯১ জন আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সরকারি মুখপাত্রের বরাত দিয়ে নেপাল নিউজ জানায়, নিহতদের অধিকাংশই সেপ্টেম্বরের ৮ ও ৯ তারিখে বিক্ষোভ চলাকালে গুরুতর আহত হয়েছিলেন এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
প্রথমদিকে রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হলেও এই বিক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে দেশের অন্যান্য শহরেও। আন্দোলনে মূলত জেনারেশন-জি বা জেন-জি নামের তরুণদের সংগঠন যুক্ত ছিল, যারা সরকারি দুর্নীতি, রাজনৈতিক জবাবদিহিতার অভাব এবং বেকারত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়।
বিক্ষোভকারীরা সরকারি প্রতিষ্ঠান, আদালত, সংসদ ভবন এবং এমনকি সুপ্রিম কোর্টেও হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালায়। অনেক জায়গায় তারা রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের বাসভবন লক্ষ্য করেও সহিংস হামলা চালায়।
এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে রোববার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সুশিলা কার্কি। দায়িত্ব নেওয়ার আগে সকালে তিনি লাইনছউরের শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই কার্কি জেনজি আন্দোলনে নিহতদের ‘শহীদ’ ঘোষণা দেন এবং প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ নেপালি রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেন।
জেনজি বিক্ষোভ নেপালের ইতিহাসে এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তরুণদের এই গণআন্দোলন এখন একটি রাজনৈতিক পরিবর্তনের দাবিতে রূপ নিচ্ছে, যার প্রতিক্রিয়া ইতোমধ্যেই দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।