লালসবুজ২৪.কম
লালকেল্লার পর এবার থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৯

লালসবুজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২২ পিএম

জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের কাছে নওগামের একটি পুলিশ স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৯ জন এবং আহত হয়েছেন ২৯ জন। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে জব্দ করা বিস্ফোরকের বিশাল স্তূপ বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

নিহতদের বেশিরভাগই পুলিশ এবং ফরেনসিক দলের কর্মকর্তা। বিস্ফোরণের সময় বিস্ফোরক পরীক্ষা করছিলেন তারা। বিস্ফোরণে মারা যান শ্রীনগর প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাও। সম্প্রতি হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে জব্দ করা বিস্ফোরক আনা হয়েছিল ওই থানায়।

আহতদের ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৯২ বেস হাসপাতাল এবং শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা নওগামে পৌঁছেছেন। এতোমধ্যে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে প্রশাসন।

এনডিটিভি বলছে, নওগাম পুলিশ স্টেশন এলাকার বিভিন্ন স্থানে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ জইশ-ই-মোহাম্মদের পোস্টারের ঘটনাটি উন্মোচিত করেছিল। এই আবিষ্কারের ফলে বিপুল বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করা হয় এবং এর সঙ্গে জড়িত কয়েকজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়।

অক্টোবরে গ্রেপ্তার হওয়া চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাথেরকে ওই পোস্টারগুলো লাগাতে দেখা যায় সিসিটিভি ফুটেজে। পোস্টারগুলোতে কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী এবং বহিরাগতদের ওপর বড় হামলার সতর্কীকরণ ছিল। ২৭ অক্টোবর তার গ্রেপ্তার একটি ‘ভয়ংকর নেটওয়ার্ক’ উন্মোচন করে। অবশ্য এরপরও একটি হামলা ঠেকাতে পারেনি ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়, হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিকেল কলেজে কর্মরত আরেক ডাক্তার মুজাম্মিল শাকিলের নাম উঠে আসে। শাকিলের দেয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা পুলিশের যৌথ দল প্রায় তিন হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করে। এছাড়া তার দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গেল সোমবার একই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আরেক ডাক্তার শাহীন সাঈদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর কয়েক ঘণ্টা পরে নয়াদিল্লির লালকেল্লার কাছে জনাকীর্ণ রাস্তায় গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটে, যার ফলে নিহত হন ১৩ জন। এছাড়া ২০ জনেরও বেশি আহত হন এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপরদিন এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত আরেকজন চিকিৎসক উমর নবীর নাম উঠে আসে।

সূত্র জানায়, তিনিই হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন, যেটি বিস্ফোরিত হয়েছিল। বিস্ফোরণের তদন্তকারী জাতীয় তদন্ত সংস্থার সূত্র জানিয়েছে, বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণে রাসায়নিক জব্দ এবং তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের ফলে সন্দেহভাজন ব্যক্তি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ঘটনাটি ঘটনায়।

সূত্রগুলো এনডিটিভিকে জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ভুলভাবে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি করেছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন, আতঙ্কের কারণে তিনি সর্বোচ্চ ক্ষতির জন্য আইইডি সজ্জিত করতে পারেননি।

লালসবুজ২৪.কম
ইমেইল: info@lalsobuj24.com