রোজার আগেই নির্বাচন, সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি আজ থেকে কার্যত সম্পন্ন। মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পটুয়াখালী সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, নিরাপত্তা পরিবেশ, মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতি, জননিরাপত্তা এবং পর্যটন অঞ্চলগুলোর বিশেষ নজরদারি নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে দেয়া হবে না। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
দুপুর দেড়টায় পটুয়াখালী পুলিশ লাইন পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখানে তিনি বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা, নিবারণমূলক টহল, নৌপথের নিরাপত্তা এবং সাইবার নজরদারির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে দিকনির্দেশনা দেন।
এরপর তিনি কোস্টগার্ড বেইজ পরিদর্শন করেন। উপকূলীয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও সমুদ্রপথে অপরাধ প্রতিরোধের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বিকেল ৪টায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কুয়াকাটায় ট্যুরিস্ট পুলিশ ও নৌ পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা রয়েছে। কুয়াকাটার পর্যটন নিরাপত্তা বাড়াতে শীত মৌসুমের ভিড়, পর্যটকদের নিরাপদ চলাচল, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সমুদ্রের ঝুঁকি মোকাবিলা নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে নির্দেশনা দেবেন। সফর শেষে তিনি কুয়াকাটাস্থ আনসার ও ভিডিপি রেস্ট হাউজে রাত্রিযাপন করবেন।
আগামীকাল রোববার সকাল ১১টায় বরিশাল যাওয়ার পথে মৎস্যবন্দর মহিপুর ও মহিপুর থানা পরিদর্শন করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সমুদ্রকেন্দ্রিক অপরাধ, জেলেদের নিরাপত্তা, মৎস্যঘাটের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং পর্যটন মৌসুমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পটুয়াখালী–কুয়াকাটা অঞ্চল দেশি-বিদেশি পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য। ফলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় নিয়মিত টহল, নৌ-অপারেশন, সিসিটিভি নজরদারি এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন একান্ত সচিব, উপপ্রধান তথ্য অফিসার (পরিচালক), সহকারী একান্ত সচিব ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা ও উপকূলীয় অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলার সামগ্রিক অগ্রগতি যাচাই এবং নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা জোরদার করাই তার এ সফরের মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।