ফেব্রুয়ারিতে ভোটের জন্য প্রস্তুত এনসিপি, জোটের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে তরুণ নেতৃত্বের দল

লালসবুজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হতে যাচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অন্তবর্তী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, সেক্ষেত্রে সময় আছে প্রায় ৫ মাস। কিন্তু এখনও নিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি গণঅভুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র নেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)। দলটির শাপলা প্রতীকের দাবিও অমিমাংসিত।

প্রতীকের প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, শাপলা প্রতীকের ব্যাপারেই ভাবছি। এখন পর্যন্ত বিকল্প অন্য কোনও প্রতীক নিয়ে আমাদের ভাবনা নেই। শতাধিক আইনজীবী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, শাপলা প্রতীক প্রদানে আইনগত কোনও বাধার জায়গা নেই।

তবে নিবন্ধন কিংবা প্রতীকের চেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য এনসিপির বড় শর্ত গণহত্যার বিচার ও সংস্কার বাস্তবায়ন। এছাড়া, নির্বাচন চায় না দলটি।

আখতার হোসেন বললেন, নির্বাচনের যে আলোচনা সেটা অবশ্যই প্রাসঙ্গিক। কিন্তু সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে নির্বাচন, সেটা পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত দেয়। সেটা বাংলাদেশে আমরা হতে দেবো না। বাংলাদেশে অবশ্যই নতুন ব্যবস্থার ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে হবে। যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তারা সংস্কার প্রস্তাবনাগুলোর বাইরে যেতে পারবেন না। এইটা পাকাপোক্ত করেই ক্ষমতা অর্পণ করার দিকে আমাদেরকে অগ্রসর হতে হবে।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেছেন, নির্বাচনের জন্য এনসিপি প্রস্তুত এবং এনসিপি মনে করে গণপরিষদই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের মূল সমাধান। আমাদের মূল আপত্তির জায়গা বাংলাদেশের শাসনতান্ত্রিক যে কাঠামো সে কাঠামো পরিবর্তন, এখানে যাতে পূর্বের ফ্যাসিবাদ কোনোভাবে ফিরে না আসে।

এনসিপি নির্বাচনে অংশ নিলেও জোট করবে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে জোটের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হবে তরুণদের নেতৃত্বাধীন দলকে।

আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ভোটের ক্ষেত্রে জোটের বিষয়ে এনসিপি এখনও কোনও ধরনের চিন্তা-সমঝোতা করেনি। বরং এনসিপি মনে করে তরুণদের যে প্রজন্ম, আগামীতে তাদেরকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ আসতে পারে।

দলটির শীর্ষ নেতারা এ-ও বলছেন, এনসিপি নির্বাচনের বিপক্ষে না। তবে বর্তমান বাস্তবতায় নির্বাচনের সময়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত দলটি।

আখতার হোসেনের ভাষ্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন যেভাবে ফাংশন করছে তাতে করে তারা নির্বাচন আয়োজনের মতো প্রস্তুত হয়েছে বলে আমাদের কাছে এখনও মনে হয় না।

আরিফুল ইসলাম আদীব বললেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যতটুকু নিরপেক্ষ-জনবান্ধব হওয়া দরকার, সে রকম পরিস্থিতি নেই। ফলে এটির আমূল সংস্কার দরকার।