সেন্টমার্টিন খুলছে ১ নভেম্বর, জানা গেল পর্যটক থাকার সময়

আগামী পহেলা নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য সেন্টমার্টিন খুলে দেওয়া হচ্ছে। নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন খুলে দেওয়া হলেও পর্যটকরা থাকতে পারবেন জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান। সচিব বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়া নিয়ন্ত্রণের ফলে সেখানকার পরিবেশ অনেক উন্নতি হয়েছে। আপনার এবার সেন্টমার্টিনে গেলেই সেটি দেখতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন জানান, দেশের পর্যটন শিল্প রক্ষার জন্য একটি পর্যটন নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। এই নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এর আগে সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজ নিয়ন্ত্রণে যৌথ কমিটি গঠন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এতে সিদ্ধান্ত হয়, সেন্ট মার্টিনে যেতে হলে পর্যটকদের নিবন্ধনসহ নানা বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। যদিও এরপর নয় মাস ভ্রমণের জন্য সেন্টমার্টিনে যাওয়া যাবে না বলে মর্মে সিদ্ধান্ত দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সে সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছিলেন, সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতেই ভ্রমণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, সেন্টমার্টিনকে স্থানীয় জনগণ কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রে রূপ দেয়া হবে। তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাঁচানোর প্রয়াসকে ভিত্তিহীন কথা দিয়ে ভিন্নপথে পরচালিত করার সুযোগ নেই, সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাঁচাতে বন্ধ রাখা হচ্ছে। সরকার নতুন কিছু নয় বরং বহু পুরনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।
এর আগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মাসের জন্য বন্ধ হয় সেন্ট মার্টিনে পর্যটক ভ্রমণ। যার প্রভাব পড়েছে দ্বীপের পর্যটন খাতে। বন্ধ রয়েছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। সেন্টমার্টিনে যাতায়াত বন্ধ হওয়ায় সুনশান নীরবতা জেটিঘাটে। জাহাজে বেকার সময় পার করছেন কর্মচারীরা। এতে বিপাকে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।