পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে ‘নতুন চাঁদ’, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

লালসবুজ২৪.কম ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৪ এএম

গত বছর পৃথিবীর পাশ দিয়ে ঘুরতে থাকা অতিক্ষুদ্র মহাজাগতিক বস্তুটি অস্থায়ী ‘মিনি-মুন’ নামে পরিচিত পায়। এটি আসলে চাঁদের একটি অংশ হতে পারে, যা হাজারো বছর আগে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পৃথিবীর কাছাকাছি এই গ্রহাণুটিকে জ্যোতির্বিদরা আনুষ্ঠানিকভাবে নাম দিয়েছেন ‘২০২৪ পিটি৫’। গ্রহাণুটি খালি চোখে দেখা যাবে না। প্রায় ১০ মিটার (৩৩ ফুট) ব্যাসের এটিকে দেখতে হবে টেলিস্কোপের সাহায্যে। তবে গবেষকদের মতে, এর বর্তমান গতিপথের কারণে এটি এখন বা পরবর্তী কয়েক দশকে পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের কোনো ঝুঁকিতে নেই। পৃথিবীর কাছাকাছি আসার পর ‘২০২৪ পিটি৫’ এখন ধীরে ধীরে দূরে সরে গিয়ে একটি নতুন, দূরবর্তী কক্ষপথ ধরে ঘুরছে। চমকপ্রদ এবং চাঞ্চল্যকর ব্যাপার হলো, এই বস্তুর সূর্যকে প্রদক্ষিণের কক্ষপথটি পৃথিবীর সঙ্গে খুবই মিল রয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে গ্রহাণুটি আমাদের সৌরজগতের এই অংশ থেকেই এসেছে। খবর সিএনএনের। গত ৭ আগস্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্রথম এই গ্রহাণুটিকে দেখতে পান অ্যাটলাসের দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সাহায্যে। পূর্বাভাসে বলা হয়, এটি পৃথিবীর অস্থায়ী মিনি-মুন হয়ে উঠতে পারে। তবে এই মহাজাগতিক পাথরটি একটি হর্সশু কক্ষপথে অবস্থান করেছে, যা পৃথিবীর খুব কাছাকাছি এসেছিল, তবে এটি কখনোই পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করেনি। তবুও এই মিনি-মুন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে কারণ এটি সম্ভবত চাঁদের একটি খণ্ড। আরিজোনার লোয়েল অবজারভেটরির পোস্টডক্টরাল অ্যাসোসিয়েট ড. টেডি কারেটা বলেন, 'এটি সম্ভবত চাঁদের একটি বিচ্ছিন্ন খণ্ড।' ড. কারেটা এবং তার দল লোয়েল ডিসকভারি টেলিস্কোপ এবং মাউনা কেয়া অবজারভেটরির নাসা ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ ফ্যাসিলিটি ব্যবহার করে বস্তুটি পর্যবেক্ষণ করেন। সূর্যের আলো যখন খণ্ডটির পৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয় তখন তারা দেখতে পান এটি চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে সংগৃহীত পাথরের মতো দেখতে। ড. কারেটা বলেন, 'আমাদের সাধারণ ধারণা ছিল যে এই গ্রহাণুটি চাঁদ থেকে এসেছে। তবে আমরা নিশ্চিত হই যখন দেখতে পেলাম এটি সিলিকেট খনিজে সমৃদ্ধ, যা সাধারণত গ্রহাণুতে দেখা যায় না বরং চাঁদের পাথরের নমুনায় এমনটি পাওয়া যায়।' তিনি আরও বলেন, 'এটি দেখে মনে হচ্ছে যে এই বস্তুটি খুব বেশি সময় ধরে মহাকাশে অবস্থান করছে না। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হয়তো মাত্র কয়েক হাজার বছর আগে বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং মহাকাশে ভ্রমণ শুরু করেছে।'