ট্রাম্পের নতুন হুমকি,

রাশিয়া থেকে তেল কিনলে পড়তে হবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায়

লালসবুজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১২:২৯ পিএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে নতুন অস্ত্র দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি যেসব দেশ রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় করবে তাদেরকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন। মস্কোর বিরুদ্ধে ক্ষেপে গিয়ে ট্রাম্প সোমবার (১৪ জুলাই) এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। খবর রয়টার্স

নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয়া হলেও ট্রাম্প ৫০ দিনের একটি গ্রেস পিরিয়ড (অবকাশকালীন সময়) রেখেছেন। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে রুশ বিনিয়োগকারীরা এবং ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের ফলে রুবলের দরপতন ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি শেয়ার মার্কেটও ঊর্ধ্বমুখি ছিল।

হোয়াইট হাউসের অভাল অফিসে ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটের পাশে বসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে খুবই হতাশ। ইউক্রেনকে এখন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে হবে।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সর্বাধুনিক মানের অস্ত্র তৈরি করব এবং সেগুলো ন্যাটোর কাছে পাঠানো হবে। এর জন্য ন্যাটোর মিত্র দেশগুলোকে এই অস্ত্রের খরচ বহন করতে হবে।’

ট্রাম্প আরও বলেন, এই অস্ত্রের মধ্যে থাকবে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ক্ষেপণাস্ত্র, যা ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরেই জরুরি ভিত্তিতে চেয়ে আসছে।

কিছু ক্ষেপণাস্ত্র কয়েক দিনের মধ্যেই পৌঁছে যাবে... এছাড়া কয়েকটি দেশের কাছে যে প্যাট্রিয়ট রয়েছে সেগুলো তারা বিনিময় করবে। পরবর্তীতে সেগুলো তারা মজুদ করে নেবে।

ট্রাম্প জানান, অন্যান্য দেশের অর্ডার দেওয়া ১৭টি প্যাট্রিয়টের কিছু বা সবগুলোই ‘খুব দ্রুত’ ইউক্রেনে পাঠানো হতে পারে। ন্যাটো সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটে বলেন, ইউক্রেনকে আবারও অস্ত্রে সজ্জিত করতে জার্মানি, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস ও কানাডা অংশ নিতে চায়।

এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তথাকথিত সেকেন্ডারি স্যাংশন বা পরোক্ষ নিষেধাজ্ঞা আরোপে ট্রাম্পের হুমকি বাস্তবায়িত হলে, তা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল থেকেই আইনপ্রণেতারা একটি বিল আনার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এই বিলের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে যারা তেল ক্রয় করে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুমোদন দেয়া হবে।

তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর সঙ্গে নিজেদের অধিকাংশ আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেও রাশিয়াকে অন্যান্য দেশে তেল বিক্রি থেকে বিরত রাখার মতো পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে মস্কো চীন ও ভারতের মতো ক্রেতাদের কাছে তেল রপ্তানি করে শত শত বিলিয়ন ডলার আয় করছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সেকেন্ডারি ট্যারিফ আরোপ করতে যাচ্ছি। যদি ৫০ দিনের মধ্যে কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে বিষয়টা খুব সহজ। তখন ১০০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করা হবে।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, রুশ পণ্যের উপর ট্রাম্প ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলেছেন। পাশাপাশি সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনাও রয়েছে। যেসব দেশ রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানি করবে তাদের ওপরও এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।

মার্কিন সিনেটের ১০০ জন সদস্যের মধ্যে ৮৫ জন একটি বিলে সহ-প্রস্তাবক হয়েছেন, মূলত এই বিলের মাধ্যমে ট্রাম্পকে যে কোনো দেশের ওপর ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ক্ষমতা দেয়া হবে।