বাহুবলির তৃতীয় কিস্তি নিয়ে রানার উচ্ছ্বাস
‘বাহুবলি’ ফ্র্যাঞ্চাইজির ভিলেন ভল্লালদেব চরিত্রে অভিনয় করে ইতিমধ্যেই ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে নিজের নাম লিখিয়েছেন রানা দাগ্গুবাটি। পরিচালক এস.এস. রাজামৌলির ‘বাহুবলি: দ্য এপিক’ সম্প্রতি পুনরায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে, আর তা ঘিরে দর্শকদের উচ্ছ্বাস দেখেই অভিনেতা আবারও অনুভব করছেন এই সিনেমার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব।
মূলত দুটি পর্বে মুক্তি পেয়েছিল ‘বাহুবলি’। প্রথম অংশ মুক্তি পায় ২০১৫ সালে এবং দ্বিতীয় অংশ আসে ২০১৭ সালে। পুনঃমুক্তির জন্য দুই অংশকে একত্রে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে রূপ দেওয়া হয়েছে। দর্শকদের উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া নিয়ে রানা বলেন, একটা সিনেমা আসলে চিরকাল বেঁচে থাকে। ‘বাহুবলি’ শুধু আমাদের অভিনেতা বা নির্মাতাদের জন্য নয়, সমগ্র ভারতের দর্শকদের জন্যই এক আইকনিক ছবি। এই ছবির সাফল্য, ভালোবাসা আমাদের দেখিয়েছে আমরা কত বড় স্বপ্ন দেখতে পারি এবং ভারতীয় সিনেমা কত দূর পৌঁছাতে পারে।
গর্বের সুরে তিনি আরও বলেন, দশ বছর পরও যদি মানুষ এই সিনেমা উদযাপন করে, তাহলে সেটা অবশ্যই বিশেষ কিছু। রানা জানান তিনি ভারতে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখতে পারেননি, তবে তিনি লস অ্যাঞ্জেলসের একটি চীনা থিয়েটারে আইম্যাক্স-এ পুনঃমুক্তি দেখেছেন এবং সেটিকে দারুণ অভিজ্ঞতা বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য সেখানেই পৌঁছানো। একবার পেরেছি, আবারও সম্ভব সঠিক দল আর সঠিক কাজের নৈতিকতা থাকলে বিশেষ জিনিসগুলো আবারও ঘটবে। আমরা সেই দিকেই কাজ করছি।
বাহুবলি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। এস. এস. রাজামৌলির পরিচালনায় নির্মিত এই মহাকাব্যিক দুই পর্বের চলচ্চিত্র ভারতসহ বিশ্বজুড়ে দর্শকদের মন জয় করেছে। সিনেমাটিতে প্রভাস, রানা দাগ্গুবাটি, অনুষ্কা শেট্টি, তামন্না ভাটিয়া, সত্যরাজ এবং রাম্যা কৃষ্ণণসহ আরও অনেকে অসাধারণ অভিনয় করেছেন। তাদের শক্তিশালী অভিনয়, শক্তিশালী গল্প এবং ভিএফএক্স মিলে বাহুবলিকে নিয়ে আজো আলোচনা হয়।