প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুলের কী ক্ষতি হয়?

লালসবুজ ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম

অনেকেই মনে করেন, প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুল পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন শ্যাম্পু করাটা বরং চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ এতে থাকা রাসায়নিক উপাদান চুলের প্রাকৃতিক তেল ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়। ফলে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ, ভঙ্গুর ও নিষ্প্রভ।

এতে চুল পড়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই চুল পরিষ্কারের ব্যাপারে সঠিক রুটিন জানা অত্যন্ত জরুরি।
চুল ধোয়ার সঠিক নিয়ম কী হওয়া উচিত?

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যেকের মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্প আলাদা রকমের হয়ে থাকে। কারো স্ক্যাল্প খুব তৈলাক্ত (অয়েলি), কারো আবার একেবারে শুষ্ক (ড্রাই)।

স্ক্যাল্প যদি বেশি তৈলাক্ত হয় কিংবা নিয়মিত ঘামেন, তাহলে সপ্তাহে তিনবার চুল ধোয়া যায়। আর যদি মাথার ত্বক শুষ্ক হয়, তবে সপ্তাহে এক বা দুইবার শ্যাম্পু করলেই যথেষ্ট।

শ্যাম্পুর মূল কাজ হচ্ছে স্ক্যাল্প ও চুল পরিষ্কার রাখা। কিন্তু প্রতিদিন ব্যবহার করলে তা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পরিষ্কার করে ফেলে, অর্থাৎ চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কেড়ে নেয়।

এর ফলে খুশকি, চুলকানি, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া ও অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাহলে সঠিক নিয়ম কী?

স্বাভাবিক চুলের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু করাই যথেষ্ট। যারা প্রতিদিন বাইরে যান বা ব্যায়াম করেন, তারা সপ্তাহে তিনবার হালকা (মাইল্ড) শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি প্রতিদিন চুল ধোয়ার অভ্যাস থেকেই থাকে, তাহলে শ্যাম্পু না করে কেবল পানি দিয়ে ধুলে ভালো হয়। এতে ধুলা-ময়লা ধুয়ে যাবে, আবার চুলের প্রাকৃতিক তেলও বজায় থাকবে।

সঠিক শ্যাম্পু বেছে নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ

সালফেট-ফ্রি ও প্রাকৃতিক উপাদানযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত, কারণ এগুলো চুলের ক্ষতি না করে কোমলভাবে পরিষ্কার করে। এ ছাড়া শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে, যাতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে।

সবার জন্য এক নিয়ম নয়

প্রতিটি মানুষের চুল ও স্ক্যাল্প ভিন্ন, তাই কারো ব্যবহৃত শ্যাম্পু বা রুটিন নিজের ওপর প্রয়োগ করলেই সেটা উপকার দেবে – এমনটা ভাবা ঠিক নয়। নিজের চুলের ধরন বুঝে তবেই শ্যাম্পুর রুটিন ঠিক করুন।

শেষ কথা হলো, প্রতিদিন শ্যাম্পু করা মোটেই জরুরি নয়, বরং অনেক সময় তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। চুল সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান রাখতে হলে প্রয়োজন তার ধরণের সঙ্গে মানানসই যত্ন।