শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মৌসুমীর মামলা সমাধানে গাড়ি বিক্রি করে দিচ্ছেন সানী

মৌসুমীর মামলা সমাধানে গাড়ি বিক্রি করে দিচ্ছেন সানী

প্রকাশ:

চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। দেশের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেক প্রত্যাখ্যান মামলায় এই পরোয়ানা জারি হয়েছে। গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য হয়েছে।

জানা গেছে, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৬ হাজার ২১১ টাকার চেক প্রত্যাখ্যানের অভিযোগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালতে এই মামলাটি হয়। আর এটি এড়াতে গাড়ি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেত্রীর স্বামী ওমর সানী।

চিত্রনায়িকা আরিফা পারভিন জামান মৌসুমীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাঁকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তাঁর গুলশানের বাসায় সমন পাঠানো হয়। সেখান থেকে সমন ফেরত গেলে ২৮ এপ্রিল তাঁর বসুন্ধরা আবাসিকের বাসায় আবার সমন পাঠানো হয়। সমন জারির পর মৌসুমী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ২৪ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মৌসুমী দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তাঁর স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এর চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ টাকার, যেমন এক কোটি, দুই কোটি, তিন কোটি, পাঁচ কোটি টাকার মতো শতাধিক ঋণখেলাপিকে আমি চিনি। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে তারা পরিশোধ করেনি। সেখানে মৌসুমীর কয়েক লাখ টাকার ঋণের বিষয়টি মামলা পর্যন্ত নিয়ে গেছে! এটা মৌসুমীকে অসম্মান ও অপদস্থ করা ছাড়া আর কিছুই নয়। নামটা যেহেতু মৌসুমী, তাই ভাইরাল করার চেষ্টা করল। সামান্য কিছু টাকার জন্য মৌসুমীকে যদি অসম্মান করা হয়, তাহলে অন্য কোটি কোটি ঋণখেলাপির নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন!’

 

ওমর সানী বলেন, ‘মার্সিডিজ গাড়ি বাবদ মৌসুমী ঋণ নিয়েছিল। ৮ কি ১১টা চেকও দেওয়া আছে। মৌসুমী দেশের বাইরে যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমি তাদের বলেছি, আমি তো গুলশানে থাকি না। বসুন্ধরায় থাকি। চিঠি ওখানে পাঠিয়ে দিয়েন। এরপরও তারা গুলশানের সেই ঠিকানায় চিঠি পাঠায়। এরপর আমি বলেছি, আমাদের একটা বিপর্যয় ঘটেছে। টাকার কিস্তিটা আরেকটু কমিয়ে দিলে ভালো হয়। এই যেমন ৩০, ৪০, ৫০ বা ৬০ হাজার টাকা—যখন যা পারি দিয়ে দেব। আপনারা চেক স্থগিত করেন। আমাকে কিছুদিন সময় দেন। এক লাখ টাকা আমার পক্ষে এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, ওই সময়ে মৌসুমী ও আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিয়েও জটিলতা হয়। তাই লেনদেন বন্ধ ছিল। মৌসুমী যে চেকগুলো দিয়েছিল, সেই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ ছিল। সবকিছু বুঝিয়ে বলার পরও তারা কোনো কথা শোনেনি। আমি চেয়ারম্যান বরাবর চিঠিও লিখেছি। আমাকে উল্টো বলেছে, গাড়ি হস্তান্তর করেন। আমার সঙ্গে তারা ভালো আচরণও করেনি। একটা পর্যায়ে আমাকে বলে যে উনি (মৌসুমী) পালিয়ে গেছেন। এরপর আমি বলেছি, স্টুপিডের মতো কথা বলেন কেন? এই সামান্য টাকার জন্য মৌসুমী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে! আমি ওর হাজব্যান্ড, আমি বারবার বলছি, আপনারা এসব ভাববেন কেন?’

সানী জানান, বিষয়টি আইনগতভাবে সমাধানের চেষ্টা করবেন তিনি। যে গাড়িটা আছে, তা বিক্রি করে দিয়ে হলেও এটা সমাধান তিনি করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় খবর

আরও পড়ুন

আগামী বিজয় দিবসের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে: আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী বিজয়...

শামি-সানিয়া মির্জার বিয়ে? খবর আসল নাকি ভুয়া?

ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা এখন একা। পাকিস্তানি ক্রিকেটার...

অন্তর্বর্তী সরকারের তিন প্রধান কাজ— গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন,...

ভারতের ‘ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট’ প্রস্তাবনা নাকচ বাংলাদেশের

দেশের আইন ও বিধিমালা মেনে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ খাতের...