বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সুসংবাদ, জানুয়ারিতে চালু হচ্ছে উপবৃত্তি

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সুসংবাদ, জানুয়ারিতে চালু হচ্ছে উপবৃত্তি

প্রকাশ:

দেশের শিক্ষার বৃহৎ একটি অংশ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। কিন্তু চরম বৈষ্যম্যের শিকার হয়ে আসছে তারা। শিক্ষা কারিকুলাম থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো ও সরকারি নানা সুবিধায় পিছিয়ে রয়েছে। এক সময় সরকারি প্রাথমিকের সঙ্গে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির আওতায় থাকলেও কোনো কারণ ছাড়াই তা বন্ধ করে দেয় সরকার।

কিন্তু নতুন বছরে আবারও আসছে সুসংবাদ। আগামী বছরের প্রথম দিন থেকেই মাদ্রাসার খুদে শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির আওতায় আসছে।

দীর্ঘদিন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ ছিল না। এই অর্থবছরে ৫০ কোটি টাকা সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয় থেকেও মিলেছে অনুমোদন। এতে প্রথম পর্যায়ে ৪৪২৫টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হবে। আগামী বছরের জুলাই থেকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাসহ সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির আওতায় আসবে।

সূত্র বলছে, শিক্ষার্থী প্রতি প্রাক্-প্রাথমিকের জন্য মাসে ৭৫ টাকা এবং প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা মাসিক ১৫০ টাকা উপবৃত্তি বাবদ আর্থিক সহায়তা পাবে। এই অর্থ বিতরণের ক্ষেত্রে মা অভিভাবক হিসেবে বিবেচিত হবেন।

সারা দেশে সংযুক্ত এমপিওভুক্ত ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে ৮২২৯টি। এমপিওবিহীন রয়েছে ১০৩৬টি। দেশে অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে ১৫১৯টি। অনুদানের বাইর আছে আরও ২৩২০ মাদ্রাসা। এই পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের মোট সংখ্যা ৩৮৩৯টি। প্রথম পর্যায়ে (জানুয়ারি-জুন) চার লাখ ৪১ হাজার ৬২০ জন শিক্ষার্থী এই উপবৃত্তির আওতায় আসবে। আগামী বছরের জুলাই থেকে বাকি শিক্ষার্থীদের হাতেও তুলে দেওয়া হবে উপবৃত্তির টাকা।

উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থীদের যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তা থেকে জানা যায়, প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে পাঠ্যদিবসে অন্তত ৮০ ভাগ দিন উপস্থিত থাকতে হবে। চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৮০ শতাংশ উপস্থিতি ছাড়াও ফল সন্তোষজনক হতে হবে। অকৃতকার্য হলে সেই শিক্ষার্থী উপবৃত্তির যোগ্যতা হারাবে।

পরবর্তী মাসে সে যোগ্যতা অর্জন করলে আবারও তাকে উপবৃত্তির আওতায় আনা হবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য শর্ত শিথিল করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাদ্রাসায় আসা সম্ভব না হলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে বৃত্তি প্রদানের সুযোগ রয়েছে।
এরই মধ্যে উপবৃত্তি প্রদানে তৈরি হয়েছে সফটওয়্যার। সম্পূর্ণ ডিজিটালি শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। এর জন্য মাদ্রাসা অধিদপ্তর সফটওয়্যারও তৈরি করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় খবর

আরও পড়ুন

খেজুর গুড়ের ৫ উপকারিতা

শীত মানেই খেজুর গুড়ের গন্ধ ভরা নানা ধরনের পিঠা-পায়েসের...

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাগা আগুনে দুইজনের মৃত্যু

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাগা আগুনে দুইজনের মৃত্যু...

বড় পরিবর্তন আসছে আইইএলটিএস পরীক্ষায়, ২৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর

ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম (আইইএলটিএস) ইংরেজি ভাষাদক্ষতা যাচাইয়ের...

সংগীতশিল্পীর ফ্ল্যাটে আগুন, উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা

বড়দিনের আগে ভারতীয় সংগীতশিল্পী শানের মুম্বাইয়ের ফ্লাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা...