সিরিয়ার নতুন শাসক আহমেদ আল-শারাকে (যিনি আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি নামেই অধিক পরিচিত) গ্রেপ্তারের বিনিময়ে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা বাতিল করার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ার ইস্টার্ন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বারবারা লিফ এই ঘোষণা দেন। বারবারা লিফ ও অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তা সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে নতুন সিরিয়ান সরকারের সঙ্গে প্রথম বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের ঝড়ো অভিযানে ক্ষমতাচ্যুত হন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেয় হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। এইচটিএসের প্রধান হলেন আল-শারা।
তবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএস-কে একটি “সন্ত্রাসী” সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। আল-শারা আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যদিও পরে এই সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
লিফ জানান, শুক্রবারের আলোচনায় “ইতিবাচক বার্তা” পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র আল-শারার বিরুদ্ধে পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রতিশ্রুতি ছিল যে “সন্ত্রাসী” গোষ্ঠীগুলো যেন কোনো হুমকি সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের আলোচনার ভিত্তিতে, আমি তাকে জানিয়েছি যে আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে কার্যকর থাকা রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস প্রস্তাবটি আর রাখব না। আমি তাকে এই সময়ে অন্তর্ভুক্তি ও ব্যাপক পরামর্শের গুরুত্বও জানিয়েছি।
মার্কিন শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক বলেন, আমরা একটি সিরিয়ান নেতৃত্বাধীন ও সিরিয়ান পরিচালিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করি, যা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিনিধিত্বশীল সরকারের দিকে নিয়ে যায়। এতে সব সিরিয়ানের অধিকার, বিশেষ করে নারীদের ও সিরিয়ার বৈচিত্র্যময় জাতিগত ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অধিকারকে সম্মান করা হবে।
সূত্র: আলজাজিরা