ফুটবল বিশ্বের গোলরক্ষকদের মধ্যে সেরা সময় কাটাচ্ছেন জিতেছেন আর্জেন্টাইন তারকা এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। টানা দুই মৌসুমে ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে ‘ইয়াশিন ট্রফি’ জিতেছেন তিনি। একদিন আগেই জিতেছেন ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ গোলরক্ষকের পুরস্কারও । যা মাঠের পারফরম্যান্সে দলের হয়ে তার ভূমিকা কেমনতার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এরই মাঝে তাকে গ্লাভস জোড়া কবে তুলে রাখবেন- এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে মার্টিনেজকে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের দ্বিতীয় বছর পূর্ণ হয়েছে আর্জেন্টিনার। সে উপলক্ষে আলবিসেলেস্তে ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ) বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। এএফএ প্রকাশিত ভিডিওতে ২০২৬ বিশ্বকাপ জিতলে নিজের গ্লাভস জোড়া তুলে রাখার প্রতিজ্ঞা করেছেন এমি মার্টিনেজ।
আর্জেন্টিনা ফেডারেশনের আয়োজিত ‘ফুটবল টক’-এ মার্টিনেজ ছাড়াও অংশ নিয়েছেন এনজো ফার্নান্দেজ, অ্যালেক্সিস-ম্যাক অ্যালিস্টার, গঞ্জালো মন্টিয়েল ও লাউতারো মার্টিনেজ। যেখানে তারা কাতার বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের পথে নিজেদের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো একে একে বর্ণনা করেন। একপর্যায়ে এমি মার্টিনেজ অবসরের প্রতিজ্ঞা করে বেশ চমকে দিয়েছেন সবাইকে।
আর্জেন্টিনার এই বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক বলেন, ‘এমন কোনো জাতীয় দল আছে যারা পরপর দু’বার বিশ্বকাপ জিতেছে? যদি আমি আর্জেন্টিনার হয়ে দু’বার বিশ্বকাপ জিততে পারি অবসর নিয়ে নেব। আমি প্রতিজ্ঞা করছি। তোমাদের আজই বলে দিলাম। আমি সেই বিশ্বকাপের পরই অবসর নেব।’ পরক্ষণেই আবার মজার ছলে এমিলিয়ানো হেসে বলেন, ‘আমি মাত্র ৩২ বয়সে আছি, বিশ্বকাপ যখন আসবে তখন সেটি হবে ৩৩, অর্থাৎ, যথেষ্ট তরুণই থাকব তখনও।’
কাতার বিশ্বকাপে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হয় আলবিসেলেস্তেদের। সাড়ে তিন যুগ পর তারা ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব পায় ফ্রান্সের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ফাইনাল জিতে। নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ গোলে ড্র হওয়ার পথে বড় অবদান ছিল এমি মার্টিনেজের। ফরাসি ফরোয়ার্ড কোলো মুয়ানির প্রায় নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে তিনি আকাশি-সাদা পতাকাবাহীদের নায়কের পরিণত হন। সেই মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়ে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই গোলরক্ষক বলেন, ‘এর চেয়েও অনেক কঠিন বল আমি আগে ঠেকিয়েছি। কিন্তু ওই মুহূর্তে আমি চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা করছিলাম– ‘‘প্রয়োজনে আমার মুখ উড়ে যাক’’।’
কাতারের ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে লিওনেল মেসি করলেন দুই গোল, ফরাসি অধিনায়ক এমবাপের হ্যাটট্রিক। এরপর টাইব্রেকারের স্নায়ুযুদ্ধ চলে এমির সঙ্গে প্রতিপক্ষ ফরাসি শিবিরের। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধটা জেতে আর্জেন্টিনা আর এমি মার্টিনেজই। পরক্ষণেই পিটার ড্রুরির কণ্ঠে মোহিত হতে থাকে পুরো ফুটবলবিশ্ব।