অনেকের ধারণা, শীতকালে কলা খেলে ঠান্ডা লাগে। এ কারণে অনেক অভিভাবক শিশুদের কলা খেতে দেন না বা নিজেরাও কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারণা একেবারেই সঠিক নয়।
চিকিৎসকদের মতে, কলা খাওয়ার সঙ্গে ঠান্ডা লাগার কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই। তবে যাদের অ্যালার্জি বা ঠান্ডাজনিত সমস্যা (যেমন অ্যাজমা, নাকে পানি ঝরা বা হাঁচি) রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কলা খেলে সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের কলা খাওয়ার পর যদি সমস্যা দেখা দেয়, তবে এটি এড়িয়ে চলাই ভালো।
সাধারণত ঠান্ডা লাগলে কলা বা টক জাতীয় ফল খেতে নিষেধ করা হয়। তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ক্ষতি নেই। কলায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
তবে যাদের রেনাল ফেলিওর বা পটাসিয়ামের মাত্রা নিয়ে সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য কলা খাওয়ায় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ, কলায় পটাসিয়ামের মাত্রা বেশি।
শীতকালে কলা খাওয়ার স্বাস্থ্যগত উপকারিতার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, কলায় রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা হজমে সহায়তা করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
তবে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ডায়াবেটিস রোগীরা পরিমিত পরিমাণে কলা খেলে তা কোনো সমস্যা তৈরি করে না। কারণ, কলার ফাইবার শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-এর মতে, কলা উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর। এছাড়া এটি মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে সাহায্য করে। অতএব, শীতে কলা খাওয়ায় কোনো বাধা নেই, বরং সঠিক পরিমাণে এটি খেলে শরীরের জন্য উপকারী।