রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

সচিবালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ

সচিবালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ

প্রকাশ:

সম্প্রতি সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কথা মাথায় রেখে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।‌ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সপ্তাহে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কী পয়েন্ট ইন্সটলেশনের (কেপিআই) নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকার শিগগিরই বিদ্যমান প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডগুলো পর্যালোচনা করবে এবং নতুন অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যু করার জন্য সমস্ত স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ আউটলেটগুলো থেকে নতুন আবেদন নেয়া হবে‌।

ইতোমধ্যে যেকোনো ইভেন্টের জন্য অস্থায়ী দৈনিক অ্যাক্সেস কার্ড নিজ নিজ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হবে। সরকার অসুবিধার জন্য দুঃখিত এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেছেন, কিছু লোক সরকারকে কঠোর হতে বলে আবার সামান্যতম কঠোর হলে গেল গেল রব তোলে। এই দ্বিচারিতা বন্ধ হওয়া জরুরি। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা নিয়ে যথারীতি এই দ্বিচারিতা আবার শুরু হয়েছে। প্রবেশাধিকার সীমিত করার এই সিদ্ধান্তটি খুবই সাময়িক। সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের নিজস্ব আইডিতে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, একটা বিষয় এখানে পরিষ্কার করা দরকার, কোনো সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বাতিল করা হয়নি। কেবল সচিবালয়ের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে। তা-ও খুবই অল্প সময়ের জন্য। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অস্থায়ী পাশ ইস্যু করা হবে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিগগিরই বিদ্যমান সব প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডই পর্যালোচনা করা হবে এবং নতুন অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যু করার জন্য সমস্ত স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে আবেদন চাওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এটা এখন ওপেন সিক্রেট, বাংলাদেশ সচিবালয়কে দালালদের হাটবাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছিলো। সরকারের সর্বশেষ এই সিদ্ধান্তে দালাল ছাড়া কারো শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা মনে করি, এটা সাংবাদিকদের কাজ আরো সহজ করবে। এখন সাময়িক অসুবিধা হলেও চূড়ান্ত বিচারে এটা সবাইকে সহযোগিতা করবে। এজন্যই সবার সহযোগতিা চাওয়া হচ্ছে।

সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে রাষ্ট্রের একটা বিপর্যয় হয়েছে এটা মানতে কারো দ্বিধা থাকার কথা নয়। এজন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক, সেনাবাহিনীর বিষ্ফোরক বিশেষজ্ঞ দিয়ে একসঙ্গে কোনো ঘটনার তদন্ত করা হয়নি।

উপ-প্রেস সচিব বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী বলেই এই ধরনের কমিটি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের দূরে রেখে তদন্ত কাজ চালানো হবে বলে যারা আবোল তাবোল বকছেন এরা মারাত্মক ভুলে আছেন। আমাদের বিশ্বাস, সাংবাদিকরাও বিষয়টি উপলব্ধি করবেন এবং চলমান পরিস্থিতিতে সরকারকে সহযোগতিা করবেন।

এর আগে শুক্রবার সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যুকৃত স্থায়ী প্রবেশ পাস এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ইস্যুকৃত অস্থায়ী প্রবেশ পাস ব্যতীত সব ধরনের অস্থায়ী (বেসরকারি ব্যক্তিবর্গের জন্য) সচিবালয় প্রবেশ পাস বাতিল করে সরকার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় খবর

আরও পড়ুন

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ, পাকিস্তানের ১৯ সেনা নিহত

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে দু'দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের...

আগামী বিজয় দিবসের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে: আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী বিজয়...

শামি-সানিয়া মির্জার বিয়ে? খবর আসল নাকি ভুয়া?

ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা এখন একা। পাকিস্তানি ক্রিকেটার...

অন্তর্বর্তী সরকারের তিন প্রধান কাজ— গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন,...