ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক ও ঢাকা-১০ আসনের সাবেক এমপি ফেরদৌস আহমেদ। ওপার বাংলায়ও জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর সাবেক অনেক মন্ত্রী, এমপি গা ঢাকা দিয়েছেন। অনেকে আবার আগেই দেশ ছেড়েছেন।
এদিকে খোঁজ মিলছে না চিত্রনায়ক ও সাবেক আওয়ামী লীগ এমপি ফেরদৌস আহমেদের। কোথায় আছেন, কেমন আছেন তিনি জানেন না কেউই।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ঢাকা-১০ আসনে থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফেরদৌস আহমেদ। কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশ যখন উত্তাল তখনো তাকে দেখা যায় নিজ দলের হয়ে কথা বলতে। এমন কী বিটিভি ভবনের সামনে মানববন্দনে অংশগ্রহণ করতেও দেখা গেছে তাকে।
৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন শেখ হাসিনা। দেশ ত্যাগ করে আশ্রয় নেন ভারতে। তবে সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস কোথায় আছেন বলতে পারছেন না তার কাছের কেউই।
বর্তমানে কোথায় আছেন ফেরদৌস জানতে চাওয়া হলে এই নায়কের ঘনিষ্ট সিনেমা সংশ্লিষ্ট অনেক ব্যক্তিই বলতে পারছেন না ফেরদৌস কী দেশেই আছেন নাকি বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
এদিকে কয়েকদিন আগে ফেরদৌসের বন্ধু অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও জানিয়েছেন তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই এই অভিনেতার। এমন কী তিনি এ-ও নিশ্চিত করেন যে ফেরদৌস ভারতে তার বাসায় আশ্রয় নেয়নি। সামাজিক মাধ্যমে এই অভিনেত্রী বন্ধু ফেরদৌসের সুস্থতা কামনা করেছেন। তিনি যাতে সুরক্ষিত থাকেন, প্রার্থনা করেছেন।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব দেখা যাচ্ছে না ফেরদৌসকে। ইনস্টাগ্রামে শেষ বার তিনি পোস্ট করেন ২৮ জুলাই। তারপর ফেসবুকে সর্বশেষ ৪ আগস্ট একটি ভিডিও পোস্ট শেয়ার দেখা যায় ফেসবুকে।
যেখানে আওয়ামী লিগের শক্তির উত্থান সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বার্তা দেন। যদিও অভিনেতার এই পোস্ট মন্তব্যে ভরিয়ে দিয়েছেন সে দেশের নাগরিকেরা। কেউ লিখেছেন, “এত দিনে ঘুম ভাঙল। ” কেউ লিখেছেন, “এ বার ঠেলা সামলাও। ” কেউ আবার অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেছেন নায়ক-নেতাকে। যদিও কাউকেই পাল্টা জবাব দেননি ফেরদৌস। আপাতত কোথায় রয়েছেন তিনি, তা-ও প্রকাশ্যে আনেননি।