দেশের ডলারের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করলেও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর গত চার মাসে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়। কিন্তু গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই ডলারের দাম বাড়তে শুরু করে এবং তা ১২৮ টাকায় পৌঁছায়। এমন বাস্তবতায় ব্যাংকগুলোকে ১২৩ টাকার বেশি দামে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় না কেনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের মতে, ব্যাংকগুলোকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে যে, রেমিট্যান্স কেনার ক্ষেত্রে ১২৩ টাকার সীমা মানতে হবে। এতদিন এই সীমা ছিল ১২০ টাকা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু ব্যাংক ১২৬ থেকে ১২৭ টাকায় ডলার কিনেছে।
ব্যাংক অতিরিক্তি দামে ডলার কেনার কারণে আমদানিকারকদেরও বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে। ফলে আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়ছে। এমন তথ্য দিয়েছে বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধান।
ডিসেম্বরের শুরুতে পুরোনো আমদানি দায় পরিশোধের চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে সরকারি ও বেসরকারি খাতের বেশ কিছু ব্যাংক বেশি দামে ডলার কিনতে বাধ্য হয়। এর ফলে ডলারের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়।
ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার ফলে বেশি দামে ডলার কেনা হচ্ছে। এতে করে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়লেও বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ডলার কেনার ক্ষেত্রেও বেশি দামের প্রভাব দেখা দিয়েছে।
বেশি দামে ডলার কেনার জন্য ১৩টি ব্যাংককে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এবং ১১টি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে। ব্যাংকগুলোকে তাদের কার্যক্রমের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। নির্দেশনার পর বেশ কিছু ব্যাংক রেমিট্যান্সের দর কমিয়ে এনেছে।
গত দুই দিনের মধ্যে ডলারের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। রেমিট্যান্সের দামও কিছুটা কমে এসেছে। তবে খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আমদানি দায় মেটানো সম্পন্ন হলে ডলারের বাজার আরও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।