বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের (স্কুল ও কলেজ) বদলি নীতিমালা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। রবিবার (১১ আগস্ট) প্রকাশিত এ নীতিমালাটি গত ৩১ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান নীতিমালাটি সই করেন।
এ নীতিমালা অনুযায়ী, শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের মহাপরিচালক শর্ত সাপেক্ষে পারস্পারিক বদলির আবেদন নিষ্পত্তি করতে পারবেন।
বদলির সাধারণ শর্ত
১) শুধু সম পদে কর্মরত দুজন শিক্ষকের লিখিত সম্মতিপত্রসহ পারস্পারিক বদলির আবেদন বিবেচনা করা হবে।
২) চাকরির আবেদনে উল্লিখিত নিজ জেলা ছাড়া অন্য জেলায় বদলির জন্য আবেদন করা যাবে না। তবে নারী আবেদনকারীরা স্বামীর জেলায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৩) নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকের চাকরি দুই বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করা যাবে।
৪) অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্যসংবলিত আবেদন বিবেচনাযোগ্য হবে না।
৫) চাকরিজীবনে কেবল একবারই বদলির সুযোগ থাকবে।
বদলির আবেদন নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া
১) বদলির সমগ্র প্রক্রিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
২) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর সফটওয়্যার তৈরি ও অনলাইন আবেদনের ফরমেট নির্ধারণ করবে।
৩) প্রতিবছর ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ ডিসেম্বর মধ্যে অনলাইনে পারস্পারিক বদলির জন্য আবেদন নেওয়া হবে।
৪) অনলাইনে পাওয়া আবেদন প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাচাই–বাছাই করে নিষ্পত্তি করতে হবে।
৫) বদলি করা শিক্ষকদের ইনডেক্স আগের প্রতিষ্ঠান থেকে বর্তমান প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ট্রান্সফার করতে হবে।
৬) বদলি করা শিক্ষকদের এমপিও ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি এবং জেষ্ঠ্যতার ধারাবাহিকতা পূর্ববৎ বজায় থাকবে।
বিবিধ
১) বদলির আবেদন অধিকার হিসেবে দাবি করা যাবে না।
২) বদলি করা শিক্ষকরা কোনও ধরনের টিএ/ডিএ ভাতা পাবেন না।
৩) আদেশ জারির ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বদলি করা শিক্ষকের অবমুক্তি নিশ্চিত করবেন।
৪) অবমুক্ত হওয়ার পরবর্তী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে।
৫) সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে যোগদানের বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের মহাপরিচালককে অবগত করতে হবে।