আজ সকাল থেকে শ্রমিকরা আশুলিয়ার ডিইপিজেড এবং বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের বিভিন্ন কারখানার সামনে জড়ো হয়ে চাকরির দাবিতে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
ঢাকার আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় নারী-পুরুষের সমানুপাতিক হারে নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা ও বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন চাকরিপ্রত্যাশী শ্রমিকরা।
আজ (২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শ্রমিকরা আশুলিয়ার ডিইপিজেড এবং বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের বিভিন্ন কারখানার সামনে জড়ো হয়ে চাকরির দাবিতে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
এক পর্যায়ে আন্দোলনরত শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা ও বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যারিকেড তৈরি করে অবরোধ করেন ও বিভিন্ন কারখানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন।
এতে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দুটিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়, উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এই অঞ্চলে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের বাইপাইল থেকে জিরাবো পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অবস্থিত অন্তত ৩০টি কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের কারখানায় ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।
শ্রমিকদের বিক্ষোভের এক পর্যায়ে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের ব্যারিকেড তুলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পারলেও এখনো বন্ধ রয়েছে আশুলিয়ার ডিইপিজেডের সামনের নবীনগর-চন্দ্রা সড়কটি।
বেলা ১২টার দিকে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে মুঠোফোনে বলেন, “আজকের শ্রমিকরা আন্দোলন করছে চাকরির দাবিতে। এছাড়াও পোশাক কারখানায় নারী-পুরুষের সমানুপাতিক হারে নিয়োগের দাবিসহ আরও কয়েকটি দাবি রয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কটি অবরোধ মুক্ত করতে পারলেও এখনো ব্যারিকেড রয়েছে ডিইপিজেড এর সামনে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের দুই পাশে অবস্থিত কারখানাগুলোর মধ্যে হামীম গ্রুপ, শারমীন গ্রুপসহ অন্তত ৩০ থেকে ৩৫টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।”
সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে ঐ কর্মকর্তা টিবিএসকে জানিয়েছেন।