কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে বিনোদন জগতের একটি অংশ সমর্থন জানিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই সরাসরি রাস্তায় ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলনে গলা ফাটিয়েছেন, আবার অনেকেই সামাজিকমাধ্যমে তাদের সমর্থনের কথা জানিয়ে পোস্ট দেন। যার ফলে আন্দোলনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান ভারতে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর দেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়। এর পরই বিনোদন জগতের নির্মাতারা আশায় বুক বাঁধেন। তাদের সৃষ্ট শিল্পকর্ম, যাদের জন্য নির্মাণ করেছেন, সেই আটকেপড়া সিনেমা তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন— এমনটিই আশা করেন পরিচালকরা।
‘নমুনা’, ‘রানা প্লাজা’, ‘অমীমাংসিত’, ‘শনিবার বিকেল’, ‘মেকআপ’, ‘আমার বাইসাইকেল-মং থেংগারি’—এসব ছবির কোনোটির নির্মাণ শেষ হয় ১৫ বছর আগে। আবার কোনোটি ১০ বছর আগে। কোনোটি তারও কম সময়ে। আগে-পরে যখনই নির্মাণ করা হোক না কেন— এসব কোনো ছবিই দর্শক দেখার সুযোগ পাননি।
এসব ছবির কোনোটি আইনি মারপ্যাঁচে আটকা পড়েছে, আবার কোনোটি সেন্সর বোর্ড সদস্যদের অজানা কারণে আটকা পড়েছে—এমনটিই জানিয়েছেন ছবিগুলোর পরিচালকরা। আর সেই আটকেপড়া ছবির খোঁজ নিয়ে জানিয়েছে একটি গণমাধ্যম। আমরা তা তুলে ধরার চেষ্টা করছি—
১৫ বছর আগে ‘নমুনা’ ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি অনুদানের ছবি ‘নমুনা’ নির্মাণ করেছেন স্থপতি ও চলচ্চিত্র পরিচালক এনামুল করিম নির্ঝর। এটি তার দ্বিতীয় ছিল। এর আগে ‘আহা’ বানিয়ে প্রশংসা কুড়ান এ পরিচালক।
প্রথম ছবিটি জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর, দ্বিতীয় ছবি নির্মাণে হাত দেন পরিচালক। নিরীক্ষাধর্মী ছবি ‘নমুনা’র জন্য অনুদান পান তিনি। বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে ছবিটি নির্মাণ হয়েছে। সরকারি অনুদানের যেসব প্রক্রিয়া থাকে, সব মেনেই ছবিটি নির্মাণ করেছেন নির্ঝর। এরপর সেন্সর ছাড়পত্রের জন্য জমা দেন; কিন্তু ১৫ বছর ধরে ছবিটির ছাড়পত্র মেলেনি।
শুক্রবার এ ছবিটি নিয়ে কথা হয় পরিচালকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ছবিটি এখনো আটকে আছে। যারা একটু তরুণমনস্ক, তাদের খুব ভালো লাগবে ছবিটি। নির্ঝর বলেন, আমি পরিস্থিতি বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নেব। যদি কখনো সত্যিকারের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসে, তাহলে অবশ্যই একটা উদ্যোগ নেব। এ ছাড়া আর কিছু বলার নেই।’
নির্ঝর আরও বলেন, নির্মাণের যাবতীয় কাজ শেষে লম্বা সময় ধরে এভাবে সেন্সর বোর্ডে ছবি আটকে থাকাটা পরিচালকের জন্য হতাশার। তাই একটা সময় পর এ ছবি প্রসঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন তিনি।
রায়হান রাফী পরিচালিত ‘অমীমাংসিত’ ছবিটি তিন মাস আগে প্রদর্শন উপযোগী নয় বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। ছাড়পত্র না দেওয়ার পেছনে চারটি উল্লেখযোগ্য কারণ লিখিত চিঠিতে জানানো হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে চারটি কারণ উল্লেখ করে লেখা হয়—‘চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে। কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সঙ্গে মিল রয়েছে— এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনাসংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন ও চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সঙ্গে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।’
কথা হয় ‘অমীমাংসিত’ ছবির পরিচালক রায়হান রাফীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সেন্সর বোর্ড আমাদের ছবিটি দেখেছে। শুনেছিলাম— আনকাট ছাড়পত্র পাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ কী কারণে জানি ছবিটি আটকে দেওয়া হলো। এখন যেহেতু নতুন একটা সরকার এসেছে, আমি মনে করি, যারা আসলে দুর্নীতি বা এসব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবে। আমরা আবার আবেদন করে ছবিটা মুক্তি দেব।’
কয়েক দফা সেন্সর বোর্ড ও আইন-আদালতের জটিলতা পেরিয়ে মুক্তির জন্য প্রস্তুত ছিল সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনা নিয়ে নির্মিত ‘রানা প্লাজা’। ২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মুক্তির পুরোপুরি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরিচালক। আগের দিন সন্ধ্যায় নির্মাতা জানতে পারেন, ছবির মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। দেশে-বিদেশের প্রেক্ষাগৃহ বা অন্য যে কোনো মাধ্যমেও ছবিটি দেখানো যাবে না।
দীর্ঘ ৯ বছরে ছবিটি মুক্তি পায়নি। ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্রে নানা ভীতিকর দৃশ্য দেখানোর অভিযোগ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রিট আবেদন করেন।
রানা প্লাজা’ ছবির পরিচালক নজরুল ইসলাম খান তখন সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ছবিতে নেতিবাচক কিছু নেই; বরং ছবিটির মধ্যে গার্মেন্টস মালিক-শ্রমিক আরও সচেতন হওয়ার সুযোগ খুঁজে পাওয়া যাবে।
গতকাল বিকালে কথা হয় ছবির পরিচালকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ছবিটি বানানো থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই ছবি বানাতে গিয়ে তিনি নিঃস্বও হয়েছেন। এরপর আর কোনো ছবি বানাননি।
পরিচালক আশাবাদী হয়েছেন। নতুন সরকারের সময়ে তার ছবিটি মুক্তি পাবে বলে মনে করেন তিনি। পরিচালক বলেন, ‘দেশে যেসব অন্যায়ের অবসান হচ্ছে দেখছি, আমার ছবিটি ঘিরেও তথ্য মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন কর্মকর্তার অবিচারের ন্যায়বিচার পাব। আমি ভুক্তভোগী, বর্তমান সরকারের কাছে হয়তো ন্যায়বিচার পাব। আমার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, এমনটা যদি হতে থাকে, তাহলে এই দেশে ভালো কোনো নির্মাতা ভালো কোনো ছবি নির্মাণে এগিয়ে আসবে না।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ৯ বছর আগে তৈরি ছবিটি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার পরও ছবিটি দর্শক দেখবেন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের গার্মেন্টস বিপর্যয় নিয়ে আগে কোনো ছবি তৈরি হয়নি তো, তাই বিষয়টি ভালো লাগবে। ‘রানা প্লাজা’র মতো গার্মেন্টসে কীভাবে এমন ভয়াবহ বিপর্যয় হলো, একটা মেয়ে কীভাবে বেঁচে থাকল—তা নিয়েই আমার ছবি।’
বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের মেকআপের আড়ালে লুকিয়ে থাকা গল্প নিয়ে অনন্য মামুন বানিয়েছে ‘মেকআপ’। দুই বছর আগে ছবিটি সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা দেখার পর প্রদর্শন উপযোগী নয় বলে জানিয়ে দেন। দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের মানুষকে দৃষ্টিকটুভাবে উপস্থাপন করার অভিযোগে মেকআপ ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান সেন্সর বোর্ডের সদস্য খোরশেদ আলম খসরু। গতকাল কথা হয় মেকআপ ছবির পরিচালক অনন্য মামুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ছবি নিষিদ্ধ করার কোনো নিয়ম নেই। চাইলে সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা পর্যবেক্ষণ দিতে পারেন। কিন্তু এর পরও মুক্তির অনুমতি দিতে হবে। ছবি নিষিদ্ধ করা একজন নির্মাতার স্বপ্ন হত্যা করার মতো। আমাকে কারণ দেখিয়েছিল— চলচ্চিত্রের লোকজনকে খারাপ দেখানো হয়েছে। এখন যদি চিকিৎসক নিয়ে ছবি বানাই—তারা বলবেন— আমাদের ছোট করা হয়েছে। গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে বানালে, তারাও একই কথা বলবে। রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রেও তাই। তাহলে তো কাউকে নিয়ে ছবিই বানাতে পারবে না কেউ।’
নতুন সরকারের এই সময়ে ‘মেকআপ’ সেন্সর ছাড়পত্র পাবে—এমনটিই আশা করছেন অনন্য মামুন। সেন্সর বোর্ড ও এফডিসিকে রাজনীতিমুক্ত রাখার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে— চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড, এফডিসি—এসব ক্ষেত্রে রাজনীতিমুক্ত লোকজন রাখা উচিত। ভালো ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে এসব প্রয়োজন। সত্যিকারের সংস্কৃতিমনা লোকজন এখানে থাকা উচিত। যাদের রাজনীতির গন্ধ আছে, তাদের এখানে রাখাই উচিত না।’
সেন্সর বোর্ডে প্রায় ৯ বছর ধরে আটকে আছে চাকমা ভাষায় নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা ‘আমার বাইসাইকেল-মর থেংগারি’। তরুণ নির্মাতা অং রাখাইনের মর থেংগারি সিনেমা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোচ্চার হন অনেকে। অং রাখাইন বলেন, ২০১৫ সালের মে মাসে সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়েছেন তিনি; মাঝে ৯ বছর পেরোলেও সেন্সর ছাড়পত্র মেলেনি।
তিনি বলেন, ‘আমার বাইসাইকেল-মর থেংগারি’ ছবির দৈর্ঘ্য ৬৪ মিনিটের। প্রথমে সেখান থেকে ২০ সেকেন্ড কর্তন করার কথা বলা হয়। এরপর ২৫ মিনিট কেটে ফেলতে বলে! ৬৪ মিনিটের ছবির ২৫ মিনিট কাটলে ছবিটাই তো আর থাকে না। সেই ছবির সেন্সর ছাড়পত্র নিয়ে আমি কী করব?’ পাল্টা এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন পরিচালক।
প্রথম সিনেমা ‘মর থেংগারি’ ছাড়পত্র না পেলেও দ্বিতীয় সিনেমা ‘দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’ বানিয়ে এরই মধ্যে মুক্তি দিয়েছেন অং রাখাইন। গতকাল শুক্রবার কথা হলে তিনি বলেন, তৃতীয় ছবির শুটিং চলছে। ম্রো জনগোষ্ঠী নিয়ে নির্মীয়মাণ ছবিটি ২০২৬ সালে মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে তার। ‘আমার বাইসাইকেল–মর থেংগারি’ নিয়ে আপাতত ভাবতে চাইছি না। তিনি বলেন, ‘এই ছবি নিয়ে অনেক কিছু হয়েছে। আমাকে অনেক ভোগানো হয়েছে। যখন এমনটি হচ্ছিল, আমি সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে বলেও আসছিলাম, সেন্সর সনদ লাগবে না। আপনারা যখন মনে করবেন, সনদটা আমার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েন।’
তাহলে কি আর আবেদন করবেন না?— এমন প্রশ্নে অং রাখাইন বলেন, ‘সময় আর আগ্রহ কোনোটাই নেই। আমি এখন তৃতীয় ছবির কাজ শুরু করেছি। ৫০ ভাগ কাজ শেষও হয়েছে। ছবি বানানোটা আমার কাছে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি অঙ্গীকারের ও দায়বদ্ধতার। সেই অঙ্গীকার ও দায়বদ্ধতা থেকে ছবির বিষয়বস্তু নির্বাচন করেছি। ছবি বানিয়ে সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়েছি। এরপর তাদের দায়িত্ব মুক্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। রাষ্ট্র যদি এখন স্বপ্রণোদিত হয়ে ছবিটি মুক্তির পথ তৈরি করে, তাহলে ভাবব। অন্যথায় নয়। এ ছাড়া দর্শকরাও যদি মনে করেন, তাহলেই তারা ছবিটি দেখতে পাবেন।’
কয়েক বছর ধরে আটকে আছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’। ছবিটি মুক্তির দাবিতে গত বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা হয়। এর মধ্যে গত বছরের শুরুর দিকে সিনেমাটি নিয়ে সেন্সর বোর্ডের আপিল কমিটির শুনানির দিন ঠিক করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। শুনানি শেষে পরিচালক জানতে পারেন, ছবিটির মুক্তি অনিশ্চিতের খবর।
তবে পরিচালকের বিশ্বাস ছিল— দর্শকের জন্য বানানো শনিবার বিকেলে দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন। কারণ ছবিটি দেশের বাইরের বিভিন্ন উৎসবে পুরস্কৃতও হয়।
গত বছর গণমাধ্যমে ফারুকী এ–ও বলেছিলেন— শনিবার বিকেল ছবিটি বানিয়ে আমরা কোনো অন্যায় করিনি। এ ছবি আটকে দিয়ে কে বা কারা আমাদের দেশকে হেয় করার চেষ্টা করছেন। ফারুকী মনে করছেন, ‘শনিবার বিকেল’ আর আটকে থাকবে না। শুধু ‘শনিবার বিকেল’ নয়, দেশের কোনো ছবিই আটকে থাকবে না।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বললেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে— কোনো ছবিই আটকে রাখা যাবে না। এই যে ছবি আটকানোর সংস্কৃতি, মানুষের মুখ বন্ধ করার সংস্কৃতি, সংবাদমাধ্যমের গলা চেপে ধরার সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র নির্মাতার গলা চেপে ধরার সংস্কৃতি— এসব সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশকে বের হয়ে আসতে হবে। এই পরিবর্তনের জন্যই কিন্তু বিপ্লবগুলো হয়েছে। সেই পরিবর্তন ঘটতে হবে। আমি নিশ্চিত, সে পরিবর্তন ঘটবে। আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই, আমরা জেলখানায় থাকতে চাই না— এটাই তো এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য যেহেতু এটা, সেহেতু মূল লক্ষ্যের সঙ্গে এই সরকার একমত, এ বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই।’