গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভূত্থানে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওইদিনের ভিডিওতে দেখা যায় নৃশংসতার খণ্ডচিত্র।
ভ্যানে লাশের স্তূপের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। লোমহর্ষক এ ভিডিও ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে নিহত কয়েকজন ব্যক্তির। পরে ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যান জানায়, ভ্যানে নিথর দেহের স্তূপের ঘটনাটি আশুলিয়া থানা সংলগ্ন এলাকার।
সেদিন ভ্যানে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ৬টি মরদেহ তোলা হয়। এদের মধ্যে শনিবার বিকেল পর্যন্ত চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সাজ্জাদ হোসেন সজল, তানজিল আহমেদ সুজয়, বাইজিদ ও সবরু হুমায়ুন। তাদের মরদেহ বুঝে পেয়েছেন স্বজনরা। অন্য দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বর্বর এই হত্যাকাণ্ডে সাভারে কর্তব্যরত ছিলেন ঢাকা জেলার তখনকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী। গতকাল সোমবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে নেওয়া হয় ডিবি অফিসে।
জানা গেছে, ২৯তম বিসিএসের কর্মকর্তা কাফী, সাভার ও আশুলিয়ায় ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় নেতৃত্বে ছিলেন। সেসকল হামলায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৭৫ জন, গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন সাড়ে ৪ শতাধিক।
উল্লেখ্য, আশুলিয়ায়, ভ্যানের ওপর মরদেহের স্তূপের ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। গত রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঢাকার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুইদ বলেছিলেন, ভাইরাল ভিডিওটি পর্যালোচনা করে ঘাতকদের চিহ্নিত করা হয়েছে । তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।