সচিবালয়ের প্রবেশে সাংবাদিকদের সব পাশ বাতিল করা হয়েছে। আগামী কাল (সোমবার) থেকে সীমিত পরিসরে অস্থায়ী পাস দেয়া হবে। এছাড়া দর্শনার্থীদের পাশ সীমিত করা হবে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের ২১ সদস্যের বৈঠক শেষে এসব কথা জানান উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমাদের যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল সেটার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার আজকে শেষ দিন। আজ পর্যন্ত আমরা কাউকে এলাউ করছি না সচিবালয় প্রবেশ করার জন্য। এ কারণে আজকে আপনারা প্রবেশ করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, বিগত সময়ে ৩ হাজার প্লাস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে। সবাই কিন্তু সাংবাদিক নন। সেটি আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। সাংবাদিকদের আবেদনের ভিত্তিতে একটি সময়ের মধ্যে নতুন করে স্থায়ী পাসের ব্যবস্থা করব। সেই সময় পর্যন্ত সীমিত সংখ্যক সাংবাদিককে একটা অস্থায়ী পাস দেওয়া হবে। আমরা সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে বসব। সচিবালয়ে এবং বাইরের যেসব সংগঠন রয়েছে তাদের সঙ্গে বসে একটা নির্দিষ্ট অস্থায়ী পাস দেওয়া হবে। কাল (সোমবার) থেকে সচিবালয়ে আপনারা প্রবেশ করতে পারবেন। এখন যে পাস আছে সব বাতিল হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ৩ হাজারের বেশি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড আমরা রাখতে পাবর না। অধিকাংশ ভুয়া। আবেদনের ভিত্তিতে যে নীতিমালা রয়েছে স্থায়ী পাস দেওয়া হবে। আগামীকাল বা পরশু থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রয়োজনে সাংবাদিক সংগঠন বা সম্পাদকদের সঙ্গে বসে কথা বলে শুরু হবে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম জানান, গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট নিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র আসবে ৩১ ডিসেম্বর।
এর আগে বেলা ১১টা থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে সচিবালয়ের গেটে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন সাংবাদিকরা। সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সচিবালয়ে প্রবেশে বেসরকারি পাস বাতিল করা হয় এবং সাংবাদিকদের প্রবেশে সাময়িক বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। ফলে নিরাপত্তার জন্য সচিবালয়ে প্রবেশের সব গেট বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শুধু ভিজিটর গেট ও প্রেস ক্লাব সংলগ্ন গেট দিয়ে প্রবেশ করছেন।
বৈঠকে ছিলেন বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দফতর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (রাকিব), প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য ঝর্ণা রায়, উবায়দুল্লাহ বাদল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাহমুদ আকাশ, মো. রাকিব হাসান, মহসীনুল করিম লেবু, আয়নাল হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল, আমিরুল ইসলাম, এম এ নোমান, শাহনাজ বিশ্বাস ইয়াসমিন, মো. আরীফ হোসেন, মো. শামছুল ইসলাম, হাসিফ মাহমুদ শাহ।