বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙার আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর মধ্যে সংসদ ভাঙা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ ঘোষণা দেন সমন্বয়ক নাহিদ হাসান।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার সংসদ বিলুপ্ত করা হয়নি। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙা না হলে আগামীকাল বুধবার (৭ আগস্ট) কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ছাত্র-জনতার উদ্দেশে এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান রাখুন। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।
এর আগে মঙ্গলবার ভোর ৪টার পর এক ভিডিও বার্তায় নাহিদ হাসান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিতে আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছিলাম। কিন্তু জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় এখনই রূপরেখা ঘোষণা করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। তার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, তিনি দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান থাকবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হোক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি সদস্যদের নামও আমরা সকালের মধ্যে ঘোষণা করবো। আমরা সকালের মধ্যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দেখতে চাই।’
নাহিদ বলেন, ‘সারাদেশে লুটপাট, সহিংসতা ও সাম্প্রদায়িক হামলার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং আমরা মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের ঘটনাকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে। কেউ যেন এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর সুযোগ না পায়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখার জন্য আমাদের সবার সঙ্গে বসতে হবে। আমরা সকল সমন্বয়ক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করব, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করব, রাষ্ট্রের সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে নির্দিষ্ট কাদের সঙ্গে বসব তা আমরা পরবর্তীতে জানিয়ে দেব।
তারা শিগগির এই সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টাসহ সামগ্রিক রূপরেখা উপস্থাপন করবেন বলেও জানান নাহিদ।