আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছিল একটি চক্র। যে চক্র রাজনৈতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে হাসিল করেছে বিভিন্ন স্বার্থ। এমনই এক অপশক্তির বলয় তৈরি করেছিলেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বীর জামাই মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
জানা গেছে, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন সময়ে খুরশীদ আলমের তদবিরে বসুন্ধরা গ্রুপের পত্রিকাসহ বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে খুব সহজেই চাকরি হতো যে কারও। তার ক্ষমতা এমনই ছিল যে এসব জায়গায় একটি ফোন কলেই চাকরি পাইয়ে দিতেন খুরশীদ আলম।
অভিযোগ রয়েছে, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বীর লবিংয়ে বিচারপতি হয়েছিলেন তার জামাই। শুধু তাই নয় খুরশীদের স্ত্রী ফারজানা রাব্বী বুবলীর বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। জানা গেছে, ফুলছড়ির কালীর বাজারের বুড়াইল স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে উপজেলা বিএনপি কাউন্সিল করার জন্য পেন্ডেল করেছিলেন। এ সময় ফারজানা রাব্বী বুবলী দেশে কোন বিএনপি- জামায়াতের ঠিকানা হবে না, আমার পুরো পরিবারের শরীরে আওয়ামী লীগের রক্ত, এই বলে প্যান্ডেলটি কলেজের মাঠ থেকে ভেঙ্গে দেন।
বিচারপতির স্ত্রী ফারজানা রাব্বী বুবলী বর্তমানে ফুলছড়ি আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক। দেশ স্বৈরশাসক থেকে মুক্তি পেলেও কোন স্বৈরাচারের লবিংয়ে মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের প্রমোশন হলো এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
এছাড়াও ২০১৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ সংগঠনের আল মামুন। সে সময় শুধু অফিস ভাঙচুরই নয়, একজন বয়োজ্যেষ্ঠ সম্পাদক আবুল আসাদকে ও লাঞ্ছিত করা হয়। আল মামুন শাহবাগে জিয়াউর রহমানের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে সেই আল মামুনের সঙ্গে সাবেক ডিপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী ও মোহম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের পক্ষের শক্তি হয়ে কাজ করা খুরশীদ আলমকে একজন বিচারপতি হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না সচেতন মহলের অনেকেই। তারা বলছেন, যে ব্যক্তি সরাসরি অনিয়ম ও বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তার কাছ থেকে কখনও সুষ্ঠু বিচার আশা করা যায় না।