দুধের বিকল্প বাজার হিসেবে শুধু এশিয়া মহাদেশেই ব্যবসা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলারের। তবে দেশ হিসেবে একক আধিপত্য চীনের। আর এই ব্যবসার সম্প্রসারণ হচ্ছে আমেরিকা বা ইউরোপেও।
গুড ফুড ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, সাধারণ মানুষ নানা সমস্যার কারণে দুধের বিকল্প ওটস, নারিকেল, বাদাম ও চালের তৈরী নানা খাবারের দিকে নজর বাড়াচ্ছে। ২০২৩ সালে এসব পণ্যের ব্যবসা হয়েছে ২৯ বিলিয়ন ডলার।
স্ট্যাস্টিস্টার তথ্য বলছে, দুধের বিকল্প বাজারে সবচেয়ে এগিয়ে এশিয়া মহাদেশ। গেল বছর শুধু এশিয়া মহাদেশেই এর ব্যবসা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলারের। যে বাজারে একচ্ছত্রভাবে আধিপত্য চীনের। এককভাবে দেশটির আয় সাড়ে ৯ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, উত্তর আমেরিকায় এর ব্যবসা এখন সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের। আর ইউরোপে এই সংখ্যা প্রায় চার বিলিয়ন ডলার।
শুধু এশিয়া মহাদেশ নয় বরং বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বেড়েছে এর ব্যবসা। পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন সুপার মার্কেটগুলোতে বিক্রি বেড়েছে ব্যাপক হারে। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাস্তুরিত দুধ থেকে আয় ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার। আর, দেশটিতে বিকল্প দুধের খাবারের বাজার দেড় বিলিয়ন ডলার।
স্ট্যাটিস্টা কনজিউমার ইনসাইটসের জরিপ অনুযায়ী, দুধের বিকল্প হিসেবে ভারতের প্রায় ৩২ শতাংশ মানুষ এসব খাবার সরবরাহ করে থাকেন। এরপরেই আছে থাইল্যান্ড, আরব আমিরাতের নাম। যা প্রায় ২৯ শতাংশ। এছাড়াও, এই তালিকার শীর্ষে আছে চীন, হংকং ও সৌদি আরবের নাম।