প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীকে নিয়ে পুরো দেশেজুড়ে চলছে তুমুল আলোচনা- সমালোচনা। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা বিভিন্ন সময় তার ফেসবুকে নামাজের ছবি, মানবিক গল্প ও সততার বাণী দেয়ার পোস্টগুলো নিয়ে ট্রল করছেন।
এদিকে সাধারণ নেটিজেনদের পাশাপাশি আবেদ আলীকে নিয়ে পোস্ট করতে দেখা গেছে তারকাদেরও। তাদেরই একজন ছোট পর্দার অভিনেত্রী সোহানা সাবা।
প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের পর আবেদ আলীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। সেখানে আবেদ আলীর নামাজরত একটি ছবি শেয়ার করে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, যারা দেখিয়ে দেখিয়ে ধর্মচর্চার নামে বাড়াবাড়ি করে, পাশে মসজিদ কিংবা নামাজের স্থান রেখে রাস্তায়, খেলার মাঠে, সমুদ্র তটে নামাজ পড়ে ছবি দেয় সোশাল মিডিয়ায়, তাদের মাঝে আমি কোনো ভালো মানুষ দেখি না। সবগুলোই বাটপার।
অভিনেত্রী আরও লেখেন, যারা শুক্রবার “জুম্মা মুবারক” বলে ফেসবুকে পোস্ট দেয়, আর যারা নিজের আমলনামা বাদ দিয়ে অন্যদের পোস্টে কমেন্ট করে -পরকালে দোজখে যাবে!! আর দান খয়রাতের ছবি-হিসাব প্রচার করে মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেইগুলোকেও আমার একই ভন্ড মনে হয়।
শুধুমাত্র এই অভিনেত্রী একাই নন অনেক শোবিজ তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ছবি সহ আবেদ আলীর নানা সময়ের নানা কর্মকান্ড নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের দুই দশক পার করলেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। ২০০৪ সালে প্রথম অভিনীত ‘আয়না’ চলচ্চিত্রের জন্যে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর থেকে নানা কাজ দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নেন।
গত বছর সবশেষ সাবাকে দেখা গিয়েছিল অরুণা বিশ্বাস পরিচালিত সরকারি অনুদানের ছবি ‘অসম্ভব’-এ। এদিকে অভিনয়ের বাইরে নিজের একটি প্রোডাকশন হাউস খুলেছেন সাবা। খুলেছেন একটি ইয়োগা স্কুলও। সামনেই নতুন ছবির ঘোষণার কথা জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বাসিন্দা আবেদ আলী একজন ড্রাইভার হলেও তার কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য সামনে এসেছে। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য সামনে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিপুল সম্পদের তথ্য তুলে ধরছেন নেটিজেনরা। ছেলে ছাত্রলীগ নেতা, পড়েছেন বিদেশে, এরপর দেশের একটি ব্যয়বহুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকার ভেতর তার দুটি বহুতল ভবন, মাদারীপুরে আলিশান বাড়ি রয়েছে এমন তথ্যও সামনে এসেছে।
সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালিয়েছিলেন আবেদ আলী। আবেদ আলী সমাজের বিত্তবান ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়মিত চলাফেরা করতেন। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গেও উঠবস করতেন। তবে এসব করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়েছেন পুলিশের জালে।