কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলেছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ দাবি উঠে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (চুয়েট)। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সে দাবি আরও জোরালো হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চুয়েট। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি নিশ্চিত করেছে চুয়েট প্রশাসন।
বুধবার চুয়েট সিন্ডিকেটের ১৩৬তম জরুরি সভায় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৩৬/১(ঘ) অনুযায়ী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করা হলো। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় বিধান অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে।
এ ঘোষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরের রাজনীতিও নিষিদ্ধ হয়ে গেল।
এদিকে ক্যাম্পাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্তে সংহতি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শাখা ছাত্র ইউনিয়নের ১৫ সদস্যের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে তারা।
একইসঙ্গে ছাত্রদের অধিকার এবং মত প্রকাশের অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠনের জন্য ছাত্র সংসদ যেন চালু থাকে সে দাবি জানায় ছাত্র ইউনিয়ন।