কুমিল্লার হোমনায় মা-ছেলেসহ তিনজনকে নিজ ঘরে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তিনজনকে শোবার ঘরের একটি খাটের ওপর ফেলে গেছে তারা। আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ি থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে । এর আগে গতকাল বুধবার রাতের কোনো এক সময় তাদের হত্যা করে ফেলে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন ওই গ্রামের শাহপরানের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), তাদের ৯ বছরের ছেলে সাহাব উদ্দিন এবং শাহপরানের মামোতো ভাই পাশের বাড়ির রেজাউল করিমের মেয়ে তিশা আক্তার (১৪)।
স্থানীয়দের বরাতে হোমনা থানার ওসি জয়নাল আবেদীন জানান, বড় ঘাগুটিয়া গ্রামে শাহপরান ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। গতকাল বুধবার রাতে তার স্ত্রী-ছেলে ও প্রতিবেশি মামাতো ভাইয়ের মেয়ে তিশা ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাদেরকে শ্বাসরোধে ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করে।
এরপর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মরদেহগুলো খাটের ওপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
কুমিল্লার জৈষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার (হোমনা সার্কেল) মীর মহসিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে তিনজনের মরদেহ একই কক্ষে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে। তিনটি মরদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে।
প্রাথমিক তদন্তে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করছি। মরদেহগুলো উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘হত্যার পর তিনজনের মরদেহ একই খাটের ওপর ফেলে যাওয়া হয়েছে।
শ্বাসরোধ ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে তাদের। হত্যার নেপথ্যের কারণ এখনো জানা যায়নি। হত্যাকাণ্ডের রহস্য জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’