সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিজীবীর সম্পদের হিসাব নেবে সরকার

সরকারি চাকরিজীবীর সম্পদের হিসাব নেবে সরকার

প্রকাশ:

সরকারি সব চাকারিজীবীকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে। শিগগিরই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এসংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানা গেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তের পর চাকরিজীবীদের সেই হিসাব কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে একটি ফরম্যাট প্রস্তুত করা হবে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

জানা গেছে, পাঁচ বছর পর পর সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান চালু হয় ১৯৭৯ সালে।

দেশে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। চাকরিজীবীর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আচরণ বিধিমালায় এ নিয়ম যুক্ত করা হয়। যদিও চার দশকের বেশি সময় ধরে এ নিয়ম পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়নি। এ ছাড়া কয়েকটি মন্ত্রণালয় তাদের অধীন কর্মচারীর কাছে সম্পদের বিবরণী চেয়েও আশানুরূপ সাড়া পায়নি।

আচরণ বিধিমালা অনুসারে, নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার কথা। সরকারি চাকরিতে ক্যাডার রয়েছে ২৬টি। এসব ক্যাডার কর্মকর্তা তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করেন। সম্পদের হিসাবও নিজ নিজ মন্ত্রণালয়েই দেওয়ার কথা।

ক্যাডার কর্মকর্তার বাইরেও সরকারের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বিপুলসংখ্যক নন-ক্যাডার কর্মকর্তা রয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী এমপি, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ ও এনবিআর থেকে বদলি হওয়া কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকে সরকারি কর্মচারীর সম্পদের হিসাবের বিষয়টি ফের সামনে আসে।

এদিকে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে সার্বিকভাবে দুর্নীতি বেড়েছে। বার্লিনভিত্তিক এ সংস্থাটি গত বছর দুর্নীতির যে ধারণা সূচক প্রকাশ করে, সেখানে আগের বছরের চেয়ে দুই ধাপ নিচে নামে বাংলাদেশ। সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন দশম।

জানতে চাইলে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, নিয়ম অনুসারে প্রতি পাঁচ বছর পর ডিসেম্বরে সরকারি কর্মচারী তাদের সম্পদের হিসাব জমা দেবেন। আগে তা প্রতিবছর দেওয়ার নিয়ম ছিল। এখন পাঁচ বছরেও অনেকে তা দিতে চান না। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রশাসন গড়ে তোলার স্বার্থে এ আচরণবিধি কঠোর ও কঠিনভাবে সরকারের প্রয়োগ করা উচিত। ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী অন্য মন্ত্রণালয় নিশ্চুপ থাকলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যেহেতু আচরণবিধি জারি করেছে, তাই তাদের মুখ্য ভূমিকা নেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, কেউ আচরণবিধি না মানলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা উচিত। এতে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা ভীত হবেন এবং দুর্নীতি পুরোপুরি বন্ধ না হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় খবর

আরও পড়ুন

গত দুই মাসে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে করেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, নীতিগত ভাবে সিদ্ধান্ত না...

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো

যমুনা নদীতে নির্মিত রেলসেতুর নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ...

হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও...

সচিবালয়ে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের অবস্থান

উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের কোটা কমানো নয় বরং...