আর এক দিন পর মঙ্গলবার প্রকাশ হতে যাচ্ছে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
অন্যবারের মতো সরকারপ্রধান বা প্রধান উপদেষ্টা কিংবা শিক্ষা উপদেষ্টা ফল ঘোষণা করবেন না। এবার শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় নিজ নিজ বোর্ডের ফল প্রকাশের ঘোষণা দেবেন।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে কীভাবে শিক্ষার্থীরা ফল পাবেন, তা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—উল্লিখিত যেকোনো পদ্ধতিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের Result sheet download করা যাবে। এছাড়া ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.dhakaeducationboard.gov.bd) ও বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) এ Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক Result sheet download করা যাবে এবং রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে Result sheet download করতে পারবেন।
এ ছাড়া পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর খুদে বার্তার মাধ্যমেও মিলবে। এতে লিখতে হবে— HSC Board name (first 3 letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222-তে পাঠাতে হবে।
প্রথা অনুযায়ী, এইচএসসি পরীক্ষার ফল ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে যে কোনো দিন প্রকাশ করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেয় আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। পরে এই তারিখ নির্ধারিত হয়। এর আগে পরীক্ষা নেওয়া বিষয়গুলোর খাতা মূল্যায়ন করে এবং বাকি বিষয়গুলোতে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে (সাবজেক্ট ম্যাপিং) এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এবার ১১টি বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ পরীক্ষার্থী। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। অন্যদিকে, আলিম পরীক্ষায় অংশ নেয় মোট ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন।
পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে স্থগিত হওয়ার আগে ছয় থেকে সাতটি পরীক্ষা হয়েছিল। বাকি বিষয়গুলোর লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষা বাকি ছিল। কয়েক দফা স্থগিত হওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষাগুলো শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ২০ আগস্ট শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে বাকি পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।