অধিকাংশ ল্যাপটপে পুনরায় চার্জযোগ্য লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। তবে ব্যাটারির আয়ন বিভিন্ন কারণে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দীর্ঘসময় চার্জ ধরে রাখতে পারে না। ফলে দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ করতে সমস্যা হয়। এ কারণে অনেক সময় ল্যাপটপের ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হয়। তবে নতুন ব্যাটারির ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা না করলে ল্যাপটপ নষ্ট হতে পারে। মেক ইউজ অবের প্রতিবেদনে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
সামঞ্জস্যতা: প্রথমেই দেখতে হবে যে ব্যাটারিটি নির্দিষ্ট ল্যাপটপ মডেলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা। ল্যাপটপের ব্যাটারি পার্ট নম্বর বা ল্যাপটপের মডেল ও ব্র্যান্ড অনুসারে বিক্রি হয়। এসব তথ্য ল্যাপটপের নিচে একটি লেবেলে বা যদি ব্যাটারিটি খুলে দেখা যায়, তবে সেখানে থাকে। সঠিক ব্যাটারি নিশ্চিত করার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সঠিক পার্ট নম্বর মেলানো।
ভোল্টেজ: নতুন ল্যাপটপ ব্যাটারি কেনার ক্ষেত্রে এর সক্ষমতা ও ভোল্টেজের বিষয়টিও দেখতে হবে। প্রতিটি ল্যাপটপ একটি নির্দিষ্ট ভোল্টেজের সঙ্গে কাজ করতে ডিজাইন করা হয়, যা মূল ব্যাটারির ওপর লেখা থাকে। কম ভোল্টেজের ব্যাটারি ব্যবহার করলে কাজে সমস্যা হতে পারে ও ব্যাটারি লাইফ কমে যেতে পারে। কারণ এটি পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করতে পারে না।
সক্ষমতা: তৃতীয় পক্ষের ব্যাটারিগুলো প্রায়ই সস্তা হয়, তবে তাদের সক্ষমতা কম থাকতে পারে। মূল ব্যাটারির সঙ্গে তুলনা করলে প্রতিস্থাপন করা ব্যাটারির সক্ষমতা কম হলে ব্যাটারি লাইফ দ্রুত কমে যাবে।
ব্যাটারি কেমিস্টি: একটি ব্যাটারিতে ব্যবহৃত নির্দিষ্ট উপাদান ও রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলো হলো ব্যাটারি রসায়ন। বিভিন্ন ধরনের ব্যাটারি বিভিন্ন উপাদানের সংমিশ্রণ ব্যবহার করে, যা তাদের পারফরম্যান্স, ক্ষমতা, ওজন এবং চার্জিং বৈশিষ্ট্যগুলোয় প্রভাব ফেলে। স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী সঠিক ব্যাটারি খুঁজে পেলেও ব্যাটারি রসায়ন, ডিভাইসের কর্মক্ষমতা শক্তি ও ওজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে বাজারে দুটি প্রধান ব্যাটারি রসায়ন হলো লিথিয়াম-আয়ন ও লিথিয়াম-পলিমার
পর্যালোচনা ও রেটিং: অনলাইনে ল্যাপটপের ব্যাটারি কেনার সময় পর্যালোচনা ও রেটিং পরীক্ষা করা জরুরি। যেহেতু হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ব্যাটারিটি পরীক্ষা করা যাবে না, তাই মডেল নম্বরটি দেখে সেটি সম্পর্কে ফিডব্যাক পড়ে নেয়া ভালো। যদিও প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়, বিশেষ করে তৃতীয়-পক্ষের ব্যাটারির ক্ষেত্রে। তবে সাবধান থাকা সবসময় ভালো। কিছুটা সময় নিয়ে গবেষণা করলে ব্যাটারির শক্তি ও চার্জিং সক্ষমতা নিয়ে প্রস্তুতকারক বা বিক্রেতার তথ্যগুলো যাচাই করা যায়।