লম্বা চুল কে না চায়! কিন্তু চাইলেই কি আর সব হয়? ধীরে ধীরে চুল পাতলা হয়ে ভলিউম কমে গেলেও কোনো সমাধানই যেন পাওয়া যায় না। আবার চুল বড় হওয়ার জন্য তেল, শ্যাম্পু থেকে শুরু করে সবধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করেও যখন আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না তখন মনটা বেশ খারাপই হয়ে যায়।
তবে নিজের ইচ্ছানুযায়ী চুল পেতে কিছুটা কষ্ট করতে হবে বৈকি! চুলের জন্য নানা রকম তেল, শ্যাম্পু নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে মেখে দেখতে পারেন আখরোটের তেল।
কেন মাখবেন?
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর আখরোটে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। এ ছাড়া রয়েছে ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালশিয়াম। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায়। যাতে চুল মজবুত হয় এবং বৃদ্ধি পায়।
এতে রয়েছে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা নেয়। চুলের অন্যতম উপাদান হল কেরাটিন নামক প্রোটিন। আখরোটে থাকা বায়োটিন কেরাটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে। ম্যাগনেশিয়াম চুল মজবুত করে। ফলে, চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখার সমস্ত উপাদানই এতে মজুত রয়েছে।
তেল মাখবেন কীভাবে?
ঈষদুষ্ণ তেল মাথার ত্বকে মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, চুলের গোড়া মজবুত হয়। তবে সরাসরি নয়, আখরোট তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন রোজ়মেরি অয়েল বা ল্যাভেন্ডারের মতো কেরিয়ার অয়েল। ২-৩ চা-চামচ আখরোট তেলে কয়েক ফোঁটা কেরিয়ার অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে।
তবে তেল সরাসরি আঁচে বসিয়ে গরম করলে হবে না। মাইক্রোওয়েভ অভেনে হালকা গরম করে নিতে পারেন, না হলে গরম জলে তেলের বাটি বসিয়ে তা গরম করে নিতে পারেন।
ঈষদুষ্ণ তেল মাথায় ১০-১৫ মিনিট মালিশ করে আধঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
চুলের মাস্কআরও ভাল ফল পেতে শুধু তেল নয়, আখরোট মাস্কও ব্যবহার করুন। ২ টেবিল চামচ আখরোট তেল, ১ চা-চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ টক দই ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। সমগ্র মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে ডগায় ভাল করে মাখিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুতে হবে। তার পর ব্যবহার করতে হবে কন্ডিশনার।
গোসলের পর চুলের চর্চা
শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহারের পর চুল ধুয়ে ভাল করে মুছে নিতে হবে। হালকা ভিজে থাকা অবস্থায় কিছুটা আখরোট তেল ভাল করে চুলে লাগিয়ে নিন। এ ভাবে গোসলের পর তেল ব্যবহার করলে রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর হবে। আর্দ্রতা বজায় থাকবে।